science and superstition essay in bengali

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার, Best composition on Science and Superstition in Bengali

” খালি কলসি দেখলে তুমি যেওনা আর বাইরে, একটা শালিক দেখো যদি খারাপ হবে ভাইরে। লেনদেন যদি রাতে করো ফল হবেনা ভালো, এমন করেই কুসংস্কারে জগতটা আজ কালো। “

ভূমিকা, Introduction 

সারা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বৈজ্ঞানিক উন্নতি অভাবনীয়, কিন্তু এর পাশাপাশি অজস্র কুসংস্কার আজও বাসা বেঁধে আছে বহু মানুষের মনের কোণে। একদিকে ব্যাপক বিজ্ঞানশিক্ষার আয়ােজন চলছে, আর অন্যদিকে ছেয়ে আছে কুসংস্কারের তাণ্ডব। অনেক সময় একই সমাজে, একই কালে, এমনকি একই ব্যক্তির মনের মধ্যে বিজ্ঞানশিক্ষা এবং কুসংস্কারের প্রাবল্য একসাথে লক্ষ্য করা যায়, যা অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয়। 

বিজ্ঞান কি? What is Science?

বিজ্ঞান শব্দটির সাথে পরিচিতির শুরুতেই আমরা জেনেছি যে এই কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান। বিজ্ঞানের কাজ হল কোন এক অজানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যুক্তি ভিত্তিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। বিজ্ঞান হোক অমোঘ সত্য, যেক্ষেত্রে থাকে শুধু বিচার- বিবেচনা তথা যুক্তি দিয়ে বিশেষ জ্ঞান প্রাপ্তি।

একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা, A Visit to a Historical Place – Paragraph in Bengali [ PDF ]  

কুসংস্কার বলতে কী বোঝায়? What do you mean by Superstition?

আক্ষরিক অর্থে দেখতে গেলে, কুসংস্কার কথাটির অর্থ হল ‘কু’ যে সংস্কার, অর্থাৎ খারাপ সংস্কার। অন্যভাবে বলতে গেলে, যেসকল সংস্কার যুক্তিহীন হয় এবং মানবজাতির পক্ষে যেগুলো অহিতকর, সেগুলিকেই বলা হয় কুসংস্কার।

মানুষ বিশ্বাস বা বিভিন্ন ধারণার বশবর্তী হয়ে যেসব কার্যকলাপ করে সেগুলোই হল সংস্কার। যেমন, প্রাচীন সময়ে অতিথিদের দেখে হাত জোড় করে নমস্কার করা হত। এইরূপ ভালো সংস্কারগুলো বর্তমানেও প্রচলিত আছে। এটাই প্রমাণ করে যে সব সংস্কার কুসংস্কার নয়, তবে যেসব আচার বা বিশ্বাসগুলি যুক্তিহীন হয় সেগুলোকেই কেবল কুসংস্কার বলা যায়। যেমন, কোথাও যাত্রাকালে হাঁচিকে অশুভ মনে করা, যাকে কুসংস্কার বলা চলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় –

“যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড় পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।” 

বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও বৈজ্ঞানিক চেতনা, Scientific progress and scientific consciousness

যুগ যুগ ধরে নানা ছােটো বড়াে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই গড়ে উঠেছে বর্তমানের আধুনিক সভ্যতা। প্রাচীনকালে যে সকল মানুষ অরণ্যচারী বা গুহাবাসী ছিল, তারাই আজ আকাশপথে পাড়ি জমাচ্ছে গ্রহে তথা গ্রহান্তরে। আজ আধুনিক বিজ্ঞানের নানা শাখা- উপশাখায় গবেষণা চলছে আর মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি একের পর এক নয়া আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে। তাই আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বলেছেন –

“বিজ্ঞানই বর্তমান জগতের উন্নতির মাপকাঠি, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতেই সভ্যতার অগ্রগতি।”

বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য, Seasonal diversity of Bengal, Best details in Bengali

বিজ্ঞানের বিস্ময়, Wonders of Science

প্রাচীনকালের মানবজাতি ছিল প্রকৃতির হাতের পুতুল। প্রকৃতির কাছে অসহায় ছিল তারা। তারপর ধীরে ধীরে সেই গুহাবাসী মানব শিখেছিল আগুন জ্বালানো, এভাবেই ক্রমে মানুষ বিজ্ঞানকে করেছে নিজের চিরসঙ্গী। এরপর থেকেই তারা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করেছে বিজ্ঞানকে। বিজ্ঞানের সাহায্যে মানবজাতি কর্তৃত্ব স্থাপন করেছে সমগ্র বিশ্বের উপর। তাই বলা যায়-

” বৈজ্ঞানিকের গবেষণায় বিশ্ব করে জয়, মানুষের ক্রমজমে প্রজম্নটা রয়। “

মানব মনে বিজ্ঞান মনস্কতা গঠন, Formation of scientific mentality in human mind

আধুনিক সময়কালে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়েও এক বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী এখনো অবধি বিজ্ঞানের আলো দেখতে পায়নি, এখনও তারা বিজ্ঞান মনস্ক হতে পারেনি। অনেকেরই জীবনচর্চায় বিজ্ঞানবিমুখতা লক্ষ্য করা যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বিজ্ঞানকে নানাভাবে আরো প্রসারিত করতে হবে।

পঠন এবং পাঠনের দিকে বিজ্ঞানকে আরও বিস্তারিত করে তুলতে হবে। শিল্প, কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, ঐতিহাসিক, সমাজবিজ্ঞানী- সকলের মধ্যেই বিজ্ঞান মনস্কতার উপস্থিতি প্রয়োজন আছে, কারণ বিজ্ঞান শিক্ষাই মানুষকে সকল প্রকার ভ্রান্তধারণাকে দূর করতে পারবে। এর থেকে মানুষ যুক্তিবাদী এবং বিচারধর্মী হয়ে ওঠে। তাছাড়া সমাজে সাধারণত যে সব অন্যায়-অবিচার লক্ষ্য করা যায় সেইসব বিজ্ঞান শিক্ষার অভাব থাকার কারণেই হয়।

বাঙালীর উৎসব নিয়ে সেরা রচনা, Best composition on Bengali festivals in Bengali

বিবিধ কুসংস্কারের অস্তিত্ব, Existence of various superstitions

“ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখিতে মুরুব্বিদের মানা, কুসংস্কারে আজও আমারা, চোখ থাকিতে কানা।”

দিনের পর দিন বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটছে, তা সত্ত্বেও প্রকৃত অর্থে মানুষ এখনও অবধি বৈজ্ঞানিক চেতনার অধিকারী হতে পারেনি৷ যথার্থ বৈজ্ঞানিক চেতনার অভাব থাকার কারণে আজও আমরা কুসংস্কারের দাস। বহু মানুষ ভ্রান্ত ধারণা, অন্ধবিশ্বাস ও প্রচলিত কিছু লােকাচারের বশবর্তী হয়ে এমন অনেক কাজ করেন যা হয়তো একেবারেই যুক্তিহীন হয়।

যেমন – এ্যহস্পর্শ, বারবেলা, পূর্ণিমা, অমাবস্যা, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদির সময় বিভিন্ন আচার মেনে চলার প্রবণতা প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি শহুরে অঞ্চলের কিছু পরিবারে আজও অব্যাহত৷ ভূতে ধরা নিয়ে আজও বেশ কিছু মানুষের বিশ্বাস অটুট। এইভাবে কুসংস্কারের বশবর্তী মানুষের চোখেই কিছু মানুষ ডাইনিতে পরিণত হয়। জলপড়া, তাবিজ মাদুলি ইত্যাদির গুরুত্ব দুর্বল মানসিকতার ব্যক্তির মধ্যে খুবই বেশি পরিমাণে রয়েছে। আবার কিছু মানুষের কাছে ওষুধের চাইতে দেবতার চরণামৃতের গুরুত্ব বেশি। 

ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য, Responsibilities and duties of student life in Bengali

বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার, Science vs. Superstition

আমরা সকলেরই এই বিষয়ে জ্ঞান আছে যে বিজ্ঞান ও কুসংস্কার পরস্পরের বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত। বিজ্ঞান যেকোনো কিছুর ক্ষেত্রেই যুক্তিকে প্রাধান্য দেয়, অন্যদিকে কুসংস্কার যুক্তিহীন আচারের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।

এজন্যই বিজ্ঞান এবং কুসংস্কার একসাথে থাকতে পারেনা। কিন্তু বাস্তবের দিকে নজর দিলে দেখা যায় যে, একই ব্যক্তির মনে বিজ্ঞান ও কুসংস্কার পরস্পর সহাবস্থান করছে। উদাহরণ স্বরূপ, অনেক সময় হাসপাতালগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সও সামনের রাস্তা দিয়ে বিড়াল পারাপার করতে দেখলে তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষে দেয়। কুসংস্কারের ফলে অজান্তেই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে এবং পারিবারিক জীবনে বহু ক্ষতি হয়, যার ফলে আমাদের মধ্যে অনেকেই নির্বোধের মত ভন্ড সাধুসন্ন্যাসী, ওঝা, জ্যোতিষী বা তান্ত্রিকদের দ্বারা নিত্যদিন প্রবঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি। 

খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা, Best composition on the necessity of sports in Bengali 

কুসংস্কার দূরীকরণ, Eliminating Superstition 

“তাগা তাবিজ মাদুলি/সভ্য দুনিয়ার শিকলি।”

 বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকারী বর্তমান যুগে দাঁড়িয়েও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের আচার আচরণ দেখে উক্ত কথাটিই মনে বারবার ঘুরে ফিরে আসে। মানবজাতির মন থেকে যদি কুসংস্কার দূর করতে হয় তবে সকলকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তােলা অত্যন্ত জরুরী।

শুধুমাত্র বিজ্ঞানের উন্নতি বা বিজ্ঞানশিক্ষার মাধ্যমেই নয়, বরং এরজন্য চাই বৈজ্ঞানিক চেতনা, কারণ আমার আশেপাশেও এমন অনেক মানুষ আছে যারা পেশাগত দিক থেকে বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত থাকলেও প্রতি পদে তারা নানা রকম কুসংস্কার মেনে চলে। সেক্ষেত্রে নিজের বিজ্ঞানমনস্কতা তারা শুধু পেশার মধ্যেই আবদ্ধ করে রেখেছে, মন থেকে তা সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে পারেননি।

এই কুসংস্কার সরিয়ে দিতে শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির মধ্যেই বৈজ্ঞানিক চেতনা জাগানাের চেষ্টা করা উচিত। কুসংস্কার দূরীকরণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা শিক্ষিত ব্যক্তিদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং পূর্বের তুলনায় আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে যে বিজ্ঞানই হল কুসংস্কারের বিনাশকারী।

যেখানে নিরক্ষতা থাকে সেখানেই থেকে ধর্মন্ধতা ও অন্ধবিশ্বাস,  সেইখানেই হয় কুসংস্কারের রাজত্ব। তাই নিরক্ষতা দূরীকরণের পাশাপাশি মানব মনে বিজ্ঞানচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে, যুক্তির ব্যবহারে কুসংস্কারের অসাড়তা সম্পর্কে মানুষকে অবগত হতে হবে।

• জীবন গঠন এবং চরিত্র সেরা রচনা, Best essay on Development of life and character in Bengali 
• বাংলাদেশের যানজট সমস্যা, Traffic congestion problem of Bangladesh best article in Bengali
• ইভটিজিং সম্পর্কে বিস্তারিত, Best details about Eve teasing in Bengali
• সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম, Best write-up on Cyber crime in Bengali
• অধ্যবসায়ের গুরুত্ব সেরা রচনা, Importance of perseverance best essay in Bengali

উপসংহার, Conclusion

“ঠকবে নাকো কুসংস্কারে, আলো জ্বালাও মনের ঘরে।”

বিজ্ঞানের অগ্রগতি যদি মানব মনের অন্ধকার দূর না করতে পারে, তবে বড় বড় আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এর যত অবদানই থাকুক, এর সব কিছুই অর্থহীন হয়ে পড়ে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সমূহ তখনই সার্থকতা লাভ করতে পারবে যখন সাধারণ মানুষ বিজ্ঞানকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করবে এবং বৈজ্ঞানিক চেতনার আলােকে আলোকিত হয়ে তারা কুসংস্কারমুক্ত হবে। দিনের পির দিন মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটছে, এর পাশাপাশি উন্নতির পথে হাঁটছে বিজ্ঞান এবং প্রযু্ক্তি।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল কাজের সাথেই বিজ্ঞান এক গভীর সংযোগ স্থাপন করেছে। এখন এই সংযোগ হয়তো আর বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। তবুও আমাদের এই উন্নত সভ্য সমাজ আজও অন্ধবিশ্বাস, ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারের অভিশাপ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। একশ্রেণীর মানুষ এখনও যেন কুসংস্কারের ঘন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে। তাদের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতা জাগ্রত করতে হবে, তবেই আমাদের সমাজ পুরোপুরি সভ্য হতে পারবে।

Go to Generate Picture Page by Entering Your Email Address

If you provide your email then we will not ask you for email again.

• Create Photo 🤩

Editorial Desk

Recent Posts

দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবন ও বিখ্যাত উক্তি, Life and famous quotes of Dayanand Saraswati in Bengali

আধুনিক ভারতের নির্মাতাদের মধ্যে ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রভাবিত...

রমজান নিয়ে উক্তি, কিছু কথা, বার্তা, ক্যাপশন, Best quotes, messages, captions about the month of Ramadan in Bengali

পবিত্র রমজান মাস ইসলামী বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস। রমজান হল ইসলামের...

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা । Science and Superstition

বহু আবিস্কার বৈজ্ঞানিক যুগের বিজ্ঞান চোখের পলকে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। এখানে কুসংস্কারের কোন স্থান নেই। বিজ্ঞান ও কুসংস্কার আলাদা খুঁটি।আজকের আলোচনা বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা- টি নিয়ে

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার                        আথবা, কুসংস্কারের পরিণতি                    অথবা, মানব জীবনে কুসংস্কার                অথবা, আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার

Table of Contents

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা:

“যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড়।           পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।”                              -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তি দিয়েই প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করেছে, নানান প্রতিকূলতাকে জয় করে লক্ষ্যে পৌঁছেছে। বিচারবোধ, বুদ্ধি, সংগ্রাম করার মানসিকতায় জীবজগতের কাছে সাফল্য এনে দিয়েছে। আজ মানুষ সভ্যতার গর্বে গর্বিত, তবে এসবের পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান।

কুসংস্কার কি :

কুসংস্কার হল মানুষের যুক্তি বিচারহীন অন্ধবিশ্বাস, মিথ্যা ধারণা। ইংরেজিতে একে বলা হয় Superstition যা কার্যত বহুদিন ধরে চলে আসছে। এমন অন্ধবিশ্বাস মানুষের অজ্ঞতার কারণে কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞানের যুগেও মানুষ তন্ত্র-মন্ত্র, ঝাড়ফুঁক করে ভূত-প্রেত, ডাইনি, জিন ইত্যাদির ভয়ে মরে।

কুসংস্কারের উৎপত্তি :

আদিম মানুষ পাহাড়ে জঙ্গলে বসবাস করত তখন বিজ্ঞানের জন্ম হয়নি। মানুষ সেই সময় অতিপ্রাকৃত সত্তাই বিশ্বাসী ছিল। যেকোনো প্রাকৃতিক ক্রিয়াকান্ডের কারণ ও উসৎ সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকাই এসবের মূলে অপদেবতারা ক্রিয়াশীল। সেকালের মানুষের মনের দৃঢ়বদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ভূত, প্রেত, ডাইনি  অশরীরী আত্মার কারসাজি রয়েছে বলে নিরক্ষর বিজ্ঞানচেতনাহীন মানুষ বিশ্বাস করত। এভাবেই কুসংস্কারের উৎপত্তি ও প্রসার ঘটে।

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা :

মানুষ যেদিন আগুন জ্বালাতে শিখলো সেদিনই পরোক্ষে তাদের অজান্তে বিজ্ঞানের জন্ম হল। মানুষ নানারকম ধাতুর ব্যবহার শিখলো। মানুষ প্রয়োজনে তাগিতে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করতে লাগলো, শুরু হলো গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিজ্ঞানের দৌলতে আবিষ্কার হলো নানারকমের ঔষধ। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান একে একে স্থান করে নিল।

“কত অজানারে জানাইলে তুমি                   কত ঘরে দিলে ঠাঁই                                     দূরকে করিলে নিকট বন্ধু                           পরকে করিলে ভাই।”                                                     -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কুসংস্কারের স্বরূপ :

কুসংস্কার ধর্মকে আশ্রয় করে বিকশিত হয়েছে,যেমন গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন, বলিদান প্রথা, দেবতাদের স্বপ্নাদেশ, মানুষের মধ্যে দেব-দেবীর ভর করা, বিশিষ্ট গাছকে বৃক্ষ দেবতা জ্ঞানে পুজা করা, ভন্ড সাধু সন্ন্যাসীর প্রতি বিশ্বাস, গ্রহরত্ন ধারণ, জ্যোতির্বিদ্যায় আস্থা এছাড়াও নানান কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস মানুষের চেতনা স্তরকে প্রভাবিত করেছে। আবার ধর্মীয় প্রভাব মুক্ত কুসংস্কারও রয়েছে যেমন জোড়া শালিক দেখা, যাত্রাকালে পিঁছু ডাকা, বিড়ালের রাস্তা দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে যাওয়া কিংবা এক চক্ষু দর্শনে অমঙ্গল ইত্যাদি কুসংস্কারও মানব জীবনকে প্রভাবিত করে। তাই বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন কুসংস্কারের উৎস সম্পর্কে বলেন-” it is this undefined source of fear and hope which is the genesis irrational Superstition.”

কুসংস্কারের ফলে ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক জীবনে অনেক ক্ষতি স্বীকার করতে হয় ফলে ভন্ড সাধুসন্ন্যাসী, জ্যোতিষী, ওঝা, তান্ত্রিকের দ্বারা মানুষ নিত্য প্রবঞ্চিত হচ্ছে। রোগ নিরাময়ের জন্য তুকতাক, জলপরা, পূজা আচ্ছা, ওঝা বৈদ‍্য ইত্যাদিতে নির্ভর করে রোগীর মৃত্যুও ঘটে যায়।

কুসংস্কার দূরীকরণের উপায় :

কুসংস্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার প্রসার ও বিজ্ঞান চেতনার বিস্তার। একমাত্র বিজ্ঞানীই হলো কুসংস্কারের বিনাশকারী। যেখানে নিরক্ষরতা সেখানেই ধর্মান্ধতা, আত্মবিশ্বাস সেখানেই মূল কুসংস্কারের রাজত্ব। নিরক্ষরতা দূরীকরণের পাশাপাশি বিজ্ঞান চেতনা বাড়াতে হবে। যুক্তি দিয়ে কুসংস্কারের অসাড়তা মানুষকে বোঝাতে হবে।

“বিপদ থাকে তো থাক তাই বলিয়া বিকাশের পথকে একেবারে পরিত্যাগ করিয়া চলিলে মঙ্গল নাই।”                                               -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কুসংস্কার দূরীকরণে ছাত্র-ছাত্রীর ভূমিকা :

ছাত্ররা জাতির মেরুদন্ড। ছাত্রজীবন সমাজের উপযুক্ত সময়। তাদের মধ্যে নিহিত থাকে অফুরন্ত প্রাণশক্তি। জাতির উন্নতিকে পিছনের দিকে ফেলে দেয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস। ছাত্ররাই পারে তাদের শিক্ষার আলো দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চেতনার আলো ফিরিয়ে আনতে এবং যে সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা মানুষের মনের মধ্যে যুগ যুগ ধরে বাসা বেঁধে আছে সেগুলিকে দূর করে মানুষকে যুক্তিনিষ্ঠ ও বিজ্ঞানমুখী করে তুলতে। কারণ ছাত্ররা জানে-                                         “মোদের চোখে বিশ্ববাসীর                            স্বপ্ন দেখা হোক সফল                                আমরা ছাত্রদল।”

সরকারি পদক্ষেপ :

বিজ্ঞান চেতনার প্রসার এবং কুসংস্কার দূরীকরণের জন্য আমাদের দেশে নানা ভাবে প্রচেষ্টা চলছে। এই ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। বিভিন্ন রকম সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবগুলিকে এ বিষয়ে আগ্রহী করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান প্রদর্শনী, বিজ্ঞান মেলা, আলোচনা চক্র ইত্যাদির আয়োজন করতে হবে

বিজ্ঞানের সর্বাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বলতে হয় বিজ্ঞান আজও পুরোপুরিভাবে জয়ী হতে পারেনি। বিজ্ঞানের এই পরাজয়ের পিছনের প্রকৃত কারণ হল জনসচেতনার অভাব। তাই এই সমাজকে সম্পূর্ণরূপে কুসংস্কার মুক্ত করে বিজ্ঞানের আলোতে আলোকিত করতে হলে সমাজের বুকে সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন।

আরও পড়ুন : বাংলার উৎসব রচনা

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনাটি পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই একটি মন্তব্য করে আপনার ব‍্যক্তিগত মতামত জানাবেন।

6 thoughts on “বিজ্ঞান ও কুসংস্কার রচনা । Science and Superstition”

❤️❤️❤️❤️❤️🙏🙏🙏🙏🙏

Tʜᴀɴᴋs sɪʀ…😃

I love your composition I benefited from your writing, thank you

Thank you 😇😊

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

• Privacy Policy
• Copyright Policy
• Terms and Conditions

• General Knowledge
• __Geography
• Mathematics

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা ক্লাস ১০ - Science and Superstition Essay

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা

ভূমিকা:, বিজ্ঞান ও কুসংস্কার কী, বিজ্ঞানচিন্তায় অবিশ্বাস ও কুসংস্কারের প্রভাব:, কুসংস্কারের প্রভাবে ক্ষতি:, কুসংস্কার দূরীকরণ:, কুসংস্কাররোধে ছাত্রসমাজ:, উপসংহার:.

• দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান প্রবন্ধ রচনা
• আমার প্রিয় কবি প্রবন্ধ রচনা
• ঋতুরানি শরৎ প্রবন্ধ রচনা
• বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা

You may like these posts

Post a comment, top post ad, below post ad, popular post.

জীববিদ্যা 500 টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর PDF || Biology 500 Important Questions And Answers In Bengali PDF || জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর

খেলাধুলা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর || Latest Sports Quiz Questions and Answers || Questions On Sports and Games With Answers

History 500 MCQ Important GK in Bengali PDF || ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ 500 MCQ টি প্রশ্ন ও উত্তর PDF || History GK in Bengali

RS Aggarwal Math Book Bengali PDF Download | RS Aggarwal Math Book Bengali

• Admit Card 6
• All India Job 76
• Answer Key 4
• Bengali Grammar 51
• Class - 10 5
• class - 7 38
• English General Knowledge 1
• English Grammar 12
• English Mock Test 27
• Environmental Science 1
• Environmental Studies 16
• General Knowledge 284
• Geography 106
• GI And Reasoning 23
• History D 34
• How Old Am I 1
• Indian Army 25
• Indian Railway 6
• Job News 237
• Letter Writing 11
• Life science 1
• Madhyamik Exam 42
• Mathematics 22
• Mathematics Mock Test 28
• Mock Test 224
• Nursing ANM GNM 8
• Philosophy 2
• Physical Education 13
• Political Science 26
• Question Paper 25
• Railway Group D 3
• Reasoning Mock Test 22
• Recent Events 18
• RRB Practice Set 13
• School Education 4
• Secondary 3
• SSC Constable 7
• Suggestion 1
• Syllabus 38
• The words of the wise 3
• WB Government Scheme 11
• WBP Practice Set 9
• Writing Skills 79

Random Posts

Recent posts, popular posts.

• Privacy policy

Contact form

• Privacy Policy
• Terms and Conditions
• Copyright Policy
• Advertise With Us

• _Primary TET
• __G.I and Reasoning
• __General Knowledge
• _Online Mocktest
• _Political Science
• Question Paper

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা - Science And Superstition Essay Writing

ভূমিকা: বিজ্ঞান কথার অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান। এই বিশেষ জ্ঞানের আলোকে মানুষ সাধারণ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। আদিম মানুষ ছিল গুহাবাসী কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয়ে মানুষ অট্টালিকা নির্মাণ করেছে। যেসব প্রাকৃতিক শক্তিকে দেখে সে ভয় পেত সেগুলিকে বশীভূত করে নিজের দাসে পরিণত করেছে। বর্তমান যুগ প্রকৃত অর্থেই বিজ্ঞানের যুগ। কিন্তু বিজ্ঞান আদিম মানুষকে আধুনিক করে তুললেও এখনো মানুষের আদিম মানসিকতার সম্পূর্ণ নিবৃত্তি ঘটেনি। তাই এখনো সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়; এখনো মানুষ মনস্কামনা পূরণ করার জন্য মানুষ মাদুলি-কবচ ধারণ করে। ভাবতে অবাক লাগে, একুশ শতকে পৌঁছেও মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দ্বারা চালিত হয়।

কুসংস্কার কী?

আক্ষরিক অর্থে, কুসংস্কার কথার অর্থ হল কু (খারাপ) যে সংস্কার। অন্যভাবে বললে, যেসব সংস্কার যুক্তিহীন এবং মানুষের পক্ষে অহিতকর, সেগুলিকে কুসংস্কার বলা চলে। প্রাচীনকালে মানুষ কিছু বিশ্বাস বা ধারণার বশবর্তী হয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপ করত। এগুলোই সংস্কার। যেমন, প্রাচীন ভারতে অতিথি-অভ্যাগতদের দেখে নমস্কার করা হত। এইরকম অনেক ভালো সংস্কার এখনও প্রচলিত আছে। সব সংস্কার কুসংস্কার নয়, যেগুলি যুক্তিহীন কেবল সেগুলোকেই কুসংস্কার বলা হয়। যেমন, যাত্রাকালে হাঁচিকে অশুভ মনে করা একটা কুসংস্কার।

কুসংস্কারের উৎস

এই পৃথিবীতে প্রাণের বিবর্তনের পথ ধরে একসময় মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। আদিম মানুষ প্রকৃতির রহস্যকে নিজের মতো করে বোঝার চেষ্টা করত। তারা তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতালব্ধ ধ্যানধারণা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে চালিত করত। এইসব প্রাচীন বিশ্বাস মানুষের মনে দৃঢ় ভাবে প্রোথিত হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বহু সংস্কার ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়। তবে, যেসব জায়গায় বিজ্ঞানের আলো পৌঁছায় নি সেখানে কুসংস্কারের রাজত্ব চলতে থাকলো। আবার, কিছু মানুষ বিজ্ঞান জানা সত্ত্বেও পুরাতন ধ্যান-ধারণা আঁকড়ে ধরে পড়ে রইল। মোটকথা হল, বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি সত্ত্বেও কুসংস্কারের অবসান ঘটল না।

কুসংস্কারের প্রকারভেদ

কুসংস্কার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যথা, ব্যক্তিগত কুসংস্কার, সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় কুসংস্কার প্রভৃতি। ব্যক্তিগত কুসংস্কার সংখ্যায় প্রচুর এবং এগুলি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। পরীক্ষার দিনে ডিম বা কলা না খাওয়া, যাত্রা শুরুর সময় জলভরা কলসি দেখলে সুলক্ষণ ইত্যাদি ব্যক্তিগত কুসংস্কারের মধ্যে পড়ে।

সামাজিক কুসংস্কার হল সামাজিক ব্যাধির মতো। ডাইনি সংক্রান্ত ধারণা সামাজিক কুসংস্কারের অন্যতম উদাহরণ। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে ডাইনি সন্দেহে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। নারীত্বের অবমাননা করে এমন কিছু কুসংস্কারও আমাদের দেশে প্রচলিত রয়েছে।

ধর্মীয় কুসংস্কার

ধর্মীয় কুসংস্কার বলতে সেইসব কুসংস্কারকে বোঝায় যেগুলির পিছনে ধর্মীয় কারণ রয়েছে। সব ধর্মেই কমবেশি ধর্মীয় কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। একদা প্রচলিত সতীদাহ প্রথা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি ধর্মীয় কুসংস্কারের উদাহরণ।

বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার

বিজ্ঞান এবং কুসংস্কার একে অপরের বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত। বিজ্ঞান যুক্তিকে প্রাধান্য দেয় কিন্তু কুসংস্কার যুক্তির ধার ধারে না। তাই যেখানে বিজ্ঞান থাকে সেখানে কুসংস্কার থাকতে পারেনা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, একই মানুষের মনে বিজ্ঞান এবং কুসংস্কার পরস্পর সহাবস্থান করে। হাসপাতালগামী অ্যাম্বুলেন্সও অনেক সময় রাস্তায় বিড়াল পারাপার করতে দেখলে ব্রেক কষে। আরো আশ্চর্য লাগে যখন দেখি কিছু মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুসংস্কার প্রচার করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে একদল অসাধু মানুষ কুসংস্কারকে জিইয়ে রাখতে চায়।

কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞান

অন্ধকার দূর করতে যেমন আলোর প্রয়োজন হয়, তেমনি কুসংস্কারকে নির্মূল করতে পারে এক এবং একমাত্র বিজ্ঞান। বিজ্ঞানকে বইয়ের পাতায় বন্দি না রেখে মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানচেতনার উন্মেষ ঘটাতে হবে। তবেই কুসংস্কারের গতিরোধ করা সম্ভব হবে। সরকারিভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে জনমানসে বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণার প্রসার ঘটে। বিজ্ঞান মঞ্চগুলি এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। সংবাদপত্র, বেতার, দূরদর্শন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমেও কুসংস্কার-বিরোধী প্রচার চালানো যেতে পারে। তাছাড়া, বিদ্যালয় পাঠ্যসূচিতে এমন পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কুসংস্কারমুক্ত হতে পারে।

উপসংহার: ভারতবর্ষের মতো একটি দারিদ্র্যপূর্ণ দেশে কুসংস্কার একটি সামাজিক সমস্যা। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে এবং তাদের প্রত্যেকের সংস্কার ভিন্ন ভিন্ন। একেক সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে একেকরকম কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। তবে, সব সম্প্রদায়ের অশিক্ষিত মানুষের মধ্যেই কুসংস্কার মেনে চলার প্রবণতা বেশি। তাই কুসংস্কার দূর করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার বিস্তার। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রসার ঘটাতে হবে। একথা প্রমাণিত যে, যেসব দেশের মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক চেতনা বেশি সেখানে কুসংস্কার কম। আমাদেরকেও সেই পথ ধরে এগোতে হবে এবং সমস্ত রকম কুসংস্কারকে সমূলে নির্মূল করতে হবে। তবেই ভারতের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।

Others Important Link

Syllabus Link:   Click Here

Question Paper Link:   Click Here

Admit Card Link:   Click Here

Result Link:   Click Here

Latest Job:  Click Here

You may like these posts

Post a comment.

Please do not share any spam link in the comment box

Social Plugin

Popular post.

বিভাব নাটকের MCQ প্রশ্ন ও উত্তর - Bivab MCQ Question Answer

বাংলা প্রতিবেদন রচনা PDF: মাধ্যমিকের প্রতিবেদন রচনা - Bengali Report Writing Book PDF

বিভাব নাটকের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Bivab SAQ Question Answer

Macro Lesson Plan Pdf: Download ম্যাক্রো লেসন প্ল্যান Pdf

Micro Lesson Plan Pdf Download: মাইক্রো লেসন প্ল্যান Pdf

মাধ্যমিকের বাংলা শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন ও উত্তর - Siraj ud-Daulah by Sachindranath Sengupta Questions and Answers

• Abgari Practice Set 4
• ADMIT CARD 7
• Age Calculator 1
• Anganwadi Job 2
• ANM GNM Mock Test 50
• Answer Key 9
• Asha Karmi Job 1
• Assam Job 8
• Bangla Grammar 37
• Bengal Job 27
• Bengali Grammar 13
• Bihar Job 12
• Biography 5
• Block Job 1
• Chemistry 2
• Chhattisgarh Job 9
• Class 10th 60
• Class 11th 21
• Class 11th Political Science 11
• Constitution of India 20
• Daily Current Affairs 427
• Defense Jobs 6
• Delhi Job 4
• English Grammar 10
• English Mock Test 25
• Environmental Studies 51
• Essay Writing Bengali 21
• Food SI Mock Test 25
• G.I and Reasoning 14
• General Awareness 13
• General Knowledge 557
• General Science 99
• Geography 206
• Government Job 42
• Government Scheme 6
• Higher Secondary 139
• History 287
• HS Bengali 87
• HS Geography 13
• HS History 17
• HS Political Science 9
• India GK 56
• India Job 23
• Jail Police 80
• Jhargram Job 6
• Jharkhand Job 11
• Job News 45
• Kolkata Job 15
• Lesson Plan 2
• Life Science 47
• Madhyamik 139
• Madhyamik Bengali 71
• Madhyamik Geography 36
• Madhyamik Physical Science 8
• Madhyamik Question Paper 17
• Malda Job 10
• Math Online Mock Test 30
• Monthly Current Affairs 21
• Municipality Job 3
• Nadia Job 3
• North 24 Parganas Job 5
• Nursing Quiz 50
• Odisha Job 9
• Online Mocktest 301
• Paragraph Writing 76
• Police Job 2
• Political Science 18
• Post Office Job 2
• Practice Set 31
• Previous Exam Question Paper 283
• Primary TET 44
• Primary TET Mock Test 44
• Punjab Job 8
• Question Paper 285
• Railway Group D Mock Test 16
• Railway Job 8
• Railway NTPC Mock Test 50
• Railway NTPC Practice Set 33
• Reasoning Mock Test 15
• RRB Group D 40
• Scholarship 29
• Siliguri Job 12
• Syllabus 46
• Tamil Nadu Job 11
• Telangana Job 6
• Topic Based Quiz 8
• Uttar Pradesh Job 1
• Uttarakhand Job 10
• Uttrakhand 1
• WB Government Scheme 5
• WB Police Mock Test 50
• WBCS Mock Test 50
• World Gk 57
• বাংলা ব্যাকরণ 5
• রসায়ন বিদ্যা 3

Random Posts

Recent posts, popular posts.

Contact form

• Privacy Policy
• Terms and Conditions
• Copyright Policy
• Advertise With Us

• General Knowledge
• Practice Set
• __Life Science
• __Physical Science
• _Abgari Constable
• _Psc Clerkship
• Environmental Studies

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা - Science And Superstition Essay Writing

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায়  Science And Superstition Essay Writing PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা PDF . নিচে  Science And Superstition Essay Writing PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।

ভূমিকা:  বিজ্ঞান কথার অর্থ হল বিশেষ জ্ঞান। এই বিশেষ জ্ঞানের আলোকে মানুষ সাধারণ প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। আদিম মানুষ ছিল গুহাবাসী কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান হয়ে মানুষ অট্টালিকা নির্মাণ করেছে। যেসব প্রাকৃতিক শক্তিকে দেখে সে ভয় পেত সেগুলিকে বশীভূত করে নিজের দাসে পরিণত করেছে। বর্তমান যুগ প্রকৃত অর্থেই বিজ্ঞানের যুগ। কিন্তু বিজ্ঞান আদিম মানুষকে আধুনিক করে তুললেও এখনো মানুষের আদিম মানসিকতার সম্পূর্ণ নিবৃত্তি ঘটেনি। তাই এখনো সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়; এখনো মানুষ মনস্কামনা পূরণ করার জন্য মানুষ মাদুলি-কবচ ধারণ করে। ভাবতে অবাক লাগে, একুশ শতকে পৌঁছেও মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দ্বারা চালিত হয়।

কুসংস্কার কী?

আক্ষরিক অর্থে, কুসংস্কার কথার অর্থ হল কু (খারাপ) যে সংস্কার। অন্যভাবে বললে, যেসব সংস্কার যুক্তিহীন এবং মানুষের পক্ষে অহিতকর, সেগুলিকে কুসংস্কার বলা চলে। প্রাচীনকালে মানুষ কিছু বিশ্বাস বা ধারণার বশবর্তী হয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপ করত। এগুলোই সংস্কার। যেমন, প্রাচীন ভারতে অতিথি-অভ্যাগতদের দেখে নমস্কার করা হত। এইরকম অনেক ভালো সংস্কার এখনও প্রচলিত আছে। সব সংস্কার কুসংস্কার নয়, যেগুলি যুক্তিহীন কেবল সেগুলোকেই কুসংস্কার বলা হয়। যেমন, যাত্রাকালে হাঁচিকে অশুভ মনে করা একটা কুসংস্কার।

কুসংস্কারের উৎস

এই পৃথিবীতে প্রাণের বিবর্তনের পথ ধরে একসময় মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল। আদিম মানুষ প্রকৃতির রহস্যকে নিজের মতো করে বোঝার চেষ্টা করত। তারা তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতালব্ধ ধ্যানধারণা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে চালিত করত। এইসব প্রাচীন বিশ্বাস মানুষের মনে দৃঢ় ভাবে প্রোথিত হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বহু সংস্কার ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়। তবে, যেসব জায়গায় বিজ্ঞানের আলো পৌঁছায় নি সেখানে কুসংস্কারের রাজত্ব চলতে থাকলো। আবার, কিছু মানুষ বিজ্ঞান জানা সত্ত্বেও পুরাতন ধ্যান-ধারণা আঁকড়ে ধরে পড়ে রইল। মোটকথা হল, বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি সত্ত্বেও কুসংস্কারের অবসান ঘটল না।

কুসংস্কারের প্রকারভেদ

কুসংস্কার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যথা, ব্যক্তিগত কুসংস্কার, সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় কুসংস্কার প্রভৃতি। ব্যক্তিগত কুসংস্কার সংখ্যায় প্রচুর এবং এগুলি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। পরীক্ষার দিনে ডিম বা কলা না খাওয়া, যাত্রা শুরুর সময় জলভরা কলসি দেখলে সুলক্ষণ ইত্যাদি ব্যক্তিগত কুসংস্কারের মধ্যে পড়ে।

সামাজিক কুসংস্কার হল সামাজিক ব্যাধির মতো। ডাইনি সংক্রান্ত ধারণা সামাজিক কুসংস্কারের অন্যতম উদাহরণ। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে ডাইনি সন্দেহে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। নারীত্বের অবমাননা করে এমন কিছু কুসংস্কারও আমাদের দেশে প্রচলিত রয়েছে।

ধর্মীয় কুসংস্কার

ধর্মীয় কুসংস্কার বলতে সেইসব কুসংস্কারকে বোঝায় যেগুলির পিছনে ধর্মীয় কারণ রয়েছে। সব ধর্মেই কমবেশি ধর্মীয় কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। একদা প্রচলিত সতীদাহ প্রথা, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি ধর্মীয় কুসংস্কারের উদাহরণ।

বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার

বিজ্ঞান এবং কুসংস্কার একে অপরের বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত। বিজ্ঞান যুক্তিকে প্রাধান্য দেয় কিন্তু কুসংস্কার যুক্তির ধার ধারে না। তাই যেখানে বিজ্ঞান থাকে সেখানে কুসংস্কার থাকতে পারেনা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, একই মানুষের মনে বিজ্ঞান এবং কুসংস্কার পরস্পর সহাবস্থান করে। হাসপাতালগামী অ্যাম্বুলেন্সও অনেক সময় রাস্তায় বিড়াল পারাপার করতে দেখলে ব্রেক কষে। আরো আশ্চর্য লাগে যখন দেখি কিছু মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুসংস্কার প্রচার করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে একদল অসাধু মানুষ কুসংস্কারকে জিইয়ে রাখতে চায়।

কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞান

অন্ধকার দূর করতে যেমন আলোর প্রয়োজন হয়, তেমনি কুসংস্কারকে নির্মূল করতে পারে এক এবং একমাত্র বিজ্ঞান। বিজ্ঞানকে বইয়ের পাতায় বন্দি না রেখে মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানচেতনার উন্মেষ ঘটাতে হবে। তবেই কুসংস্কারের গতিরোধ করা সম্ভব হবে। সরকারিভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যাতে জনমানসে বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণার প্রসার ঘটে। বিজ্ঞান মঞ্চগুলি এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে। সংবাদপত্র, বেতার, দূরদর্শন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমেও কুসংস্কার-বিরোধী প্রচার চালানো যেতে পারে। তাছাড়া, বিদ্যালয় পাঠ্যসূচিতে এমন পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কুসংস্কারমুক্ত হতে পারে।

উপসংহার:  ভারতবর্ষের মতো একটি দারিদ্র্যপূর্ণ দেশে কুসংস্কার একটি সামাজিক সমস্যা। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে এবং তাদের প্রত্যেকের সংস্কার ভিন্ন ভিন্ন। একেক সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে একেকরকম কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। তবে, সব সম্প্রদায়ের অশিক্ষিত মানুষের মধ্যেই কুসংস্কার মেনে চলার প্রবণতা বেশি। তাই কুসংস্কার দূর করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন শিক্ষার বিস্তার। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রসার ঘটাতে হবে। একথা প্রমাণিত যে, যেসব দেশের মানুষের মধ্যে বৈজ্ঞানিক চেতনা বেশি সেখানে কুসংস্কার কম। আমাদেরকেও সেই পথ ধরে এগোতে হবে এবং সমস্ত রকম কুসংস্কারকে সমূলে নির্মূল করতে হবে। তবেই ভারতের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।

Download বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা - Science And Superstition Essay Writing PDF

File Details:-

You may like these posts

Post a comment.

Please do not share any spam link in the comment box

Tense - ক্রিয়ার কাল - Tense English Grammar PDF Download - Tense কাকে বলে - কয় প্রকার - উদাহরণ

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর || History important SAQ PDF Download || ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

বিভিন্ন দেশের জাতীয় প্রতীক || National Symbol of Different Countries PDF Download || Gk প্রশ্ন উত্তর

General Studies Online Mock Test Quiz Part-69: Sikkharpragati Bengali Quiz For Competitive Exams

ঐতিহাসিক বই ও লেখক তালিকা PDF - List Of Historical Books And Authors PDF

• Abgari Constable Practice Set 31
• Answer Key 10
• Bengali Grammar Book 11
• Biography 6
• Current Affairs 13
• ENGLISH GRAMMAR 15
• ENVIRONMENTAL STUDIES 36
• General Awareness 56
• General Knowledge 698
• General Science 136
• Geography 206
• Gi&Reasoning 2
• Higher Secondary 104
• History 180
• ICDS Supervisor 3
• Lesson Plan 2
• Life Science 61
• MADHYAMIK 103
• Math Book Pdf 13
• MATH SHORT TIPS 17
• MCQ Practice Set 4
• Monthly Current Affairs 16
• Physical science 16
• Political Science 9
• Practice Set 11
• Previous Question Paper 80
• PRIMARY TET 42
• Primary Tet Practice Set 16
• Psc Clerkship 12
• Psc food Supply 74
• Question Paper 89
• Railway Practice Set 7
• Reasoning 1
• WBP Practice Set 33
• পরিবেশ বিদ্যা 29
• ভৌত বিজ্ঞান 15
• রসায়নবিদ্যা 10

Random Posts

Recent posts, popular posts.

Contact form

Confirm Password *

By registering, you agree to the Terms of Service and Privacy Policy . *

Username or email *

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Bengali Forum

বিজ্ঞান মনস্কতা রচনা | scientific attitude essay.

• 16 Questions
• 418 Answers
• 14 Best Answers
• 2,117 Points

বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্কতা

‘কত অজানারে জানাইলে তুমি কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।’

ভূমিকাঃ আধুনিক মানব সভ্যতার প্রধানতম হাতিয়ার বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ব্যতীত বর্তমান সময় গতিহীন, নিস্পন্দ । তাই বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের জয়যাত্রার যুগ। মানুষই এই বিজ্ঞানকে সভ্যতার সম্পদ করে তুলেছে। ক্ষুদ্র আয়তনের মানুষ মস্তিষ্কের উর্বর শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীব্যপী সমস্ত বস্তু বিষয়ের মধ্যে জ্ঞান আহরণের উপকরণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর তা থেকেই মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে বিজ্ঞান মনস্কতা। মানুষ আজকে পৃথিবীর সমস্ত জীবকে পিছনে ফেলে নিজেদেরকে প্রগতির চরম শিখরে তুলেছে শুধুমাত্র বিজ্ঞান সাধনা, অধ্যবসায়, বিজ্ঞান শিক্ষা ও মানব মনে বিজ্ঞান মনস্কতার প্রভাবের ফলে। তাই আজ একবাক্যে বলা যায় বিজ্ঞান হল গােটা সমাজের পরিচালিকা শক্তি – ‘a direct productive force of society.

বিজ্ঞান মনস্কতা কি ? বিজ্ঞান হল বিশেষ জ্ঞান। আর বিজ্ঞানের মূলমন্ত্রই হলাে অনুমান নির্ভরতা থেকে যুক্তির বন্ধনে মুক্তি ও সত্যের সাক্ষাৎ অনুভূতি। যেখানে রহস্যের গন্ধ সেখানেই বিজ্ঞান মনস্কতার জন্ম। আসলে বিজ্ঞান মনস্কতা মানুষকে জীবনমুখী কুসংস্কারমুক্ত প্রগতির পথ নির্দিষ্ট করে আর নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে জয় এনে দিয়ে উৎসাহ দান করে । তাই বলা যায় – What is wrong and what is write for us and to what extent it may be accepted or can not be accepted.’

বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধে বিজ্ঞানরূপিণী বিশেষবিদ্যার নাম ‘সঞ্জীবনী বিদ্যা’ রূপে অভিহিত করেছেন। এই বিদ্যার বলেই মানুষ নব নব আবিষ্কারের জন্ম দেয় – Necessity is the mother of invention. আর এই প্রয়ােজনীয়তার তাগিদকে মাথায় রেখেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং আরও বিজ্ঞানমনস্ক করে নিজেকে গড়ে তােলা – বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য জানা এবং তা বুঝে মনের উৎসাহ চেতনার কোষে গভীরভাবে তা প্রেরণ করা। শিশু অবস্থা থেকেই অল্প অল্প বিজ্ঞানের তথ্য জানা উচিত, তাতে অন্তত কুসংস্কারের মতাে মারণ কীটের দংশন থেকে মানুষ রক্ষা পাবে এবং নিজেকে বিজ্ঞান মনােভাবাপন্ন ভেবে আহ্লাদিত হবে এবং অপরকেও বিজ্ঞানের অনুগামী হতে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞানমনস্কতা ও কুসংস্কার দূরীকরণঃ মানুষ যখনই মানসিকভাবে দুর্বল হয় তখনই সে বিভিন্ন কুসংস্কারের আশ্রয় নেয়। বিজ্ঞান যতবার প্রগতির ধ্বজা উড়িয়েছে ততবারই কুসংস্কার ধাক্কা মেরেছে প্রবল জোরে । কিন্তু তাই বলে বিজ্ঞানকে স্তন্ধ করতে পারে নি, যথা সম্পন্ন শক্তি নিয়ে মানবমনে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রচার ঘটিয়ে। কুসংস্কারমুক্ত সমাজ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং সাফল্যও পেয়েছে।

বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা ও এ যাবৎ গৃহীত ব্যবস্থাঃ বিজ্ঞান শিক্ষা ও চেতনা যাতে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের। কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য সরকারী সাহায্য, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তথা ছােট-বড় ক্লাবগুলি আজ এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিলেও আজও সে অর্থে বিশেষ সফলতা লাভ করতে পারে নি। বিজ্ঞান মনস্কতার যে প্রথম লক্ষ্মণ – নিজে জানাে, যুক্তি দিয়ে মানাে । এই চরম সত্যটি পর্যন্ত বহু মানুষের অজানা। কাজেই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘বিজ্ঞান সবার জন্য এ সত্যকে মানুষের গােচরে আনার জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ শিবির, আলােচনা সভা, বিতর্ক সভা প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনায় উৎসাহিত করা । এর মাধ্যমে যে সাফল্য আসবে তা আসলে সমাজেরই সাফল্য । আর এর মাধ্যমেই বিজ্ঞান চেতনা মানুষের অন্দরে অন্তরে স্থান করে নেবে ও নিয়েছে।

বিজ্ঞান চেতনার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ও জয়যাত্রাঃ “বিজ্ঞানই বর্তমান জগতের উন্নতির মাপকাঠি, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতেই সভ্যতার অগ্রগতি।“ – প্রফুল্লচন্দ্র বিজ্ঞানের এই অগ্রগতিকে আরও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করতে অবশ্যই কুসংস্কারমুক্ত এক সমাজব্যবস্থা গড়া উচিত – আর এই সমাজব্যবস্থা গড়তে পারে একমাত্র সুষ্ঠু শিক্ষা পদ্ধতি – তাই আজ মানুষ শিক্ষা চেতনার মাধ্যমে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে দূর করে আকাশে, স্থলে, জলে সর্বত্র জমিয়েছে পাড়ি – তাই এভারেষ্ট চূড়া, সমুদ্রতল কিম্বা মহাকাশ অভিযান আজ মানুষের হাতের মুঠোয় বিজ্ঞান শিক্ষাই মানুষের এই অগ্রগতির ফল।

মানবমুখী বিজ্ঞান চেতনাঃ আসল কথা- শুধু যন্ত্রে কাজ হয় না, যন্ত্রী যদি মানুষ না হয়ে ওঠে” – তাই বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মনের কর্ষণও জরুরী – তা একা মনের নয়, সমাজের সব স্তরের সব মানুষকে বিজ্ঞানমুখী করতে হবে । শহর থেকে পল্লীবাংলা, রাজপ্রাসাদ থেকে দরিদ্রের কুটির সর্বত্র।

উপসংহারঃ জানি মানুষের জিজ্ঞাসার অন্ত নেই, ইন্টারনেট কম্পিউটার আজ ঘরে ঘরে তথাপি মানুষের কুসংস্কার এখনও বিজ্ঞানের দ্বার বেশ খানিকটাই আটকে রয়েছে এমতাবস্থায় বিজ্ঞানমুখী শিক্ষাই পারে এ ধারণাকে দূরীভূত করতে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন আলােচনাচক্র, পাঠচক্র, স্থানে স্থানে বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা তথা প্রদর্শণী ও বিতর্ক সভা ও সর্বোপরি একজন সংস্কারমুক্ত শিক্ষকের আয়ত্তাধীনে বিজ্ঞানমনস্ক মনের অধিকারী হয়ে উঠতে পারে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা প্রয়ােজন। তাই শুধু শুষ্ক রুক্ষ্ম বিজ্ঞান চর্চা নয় – আকর্ষণীয় করে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে আর তখনই মানুষ হবে সঠিক বিজ্ঞানমনস্ক। সে নিজের দেশ ও ঐতিহ্যের প্রতি অনুরাগী হবে যেমন তেমন সুন্দর সুষ্ঠ যুক্তিবাদী মুক্তমনের অধিকারী হয়ে মানবপ্রীতির মেলবন্ধনে নিজেকে সামিল করবে একজন সুন্দর বিজ্ঞানমনস্ক মন নিয়ে। তবেই দেশ জাতি তথা পৃথিবীর উন্নতি সার্থক হবে, জ্ঞানের প্রসার সুদৃঢ় হবে।

You must login to add an answer.

Add Bengali Forum to your Homescreen!

HindiVyakran

• नर्सरी निबंध
• सूक्तिपरक निबंध
• सामान्य निबंध
• दीर्घ निबंध
• संस्कृत निबंध
• संस्कृत पत्र
• संस्कृत व्याकरण
• संस्कृत कविता
• संस्कृत कहानियाँ
• संस्कृत शब्दावली
• Group Example 1
• Group Example 2
• Group Example 3
• Group Example 4
• संवाद लेखन
• जीवन परिचय
• Premium Content
• Message Box
• Horizontal Tabs
• Vertical Tab
• Accordion / Toggle
• Text Columns
• Contact Form
• विज्ञापन

Header$type=social_icons

• commentsSystem

Bengali Essay on "Science is Curse", "বিজ্ঞান অভিশাপ বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা" for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10

Essay on Science is Curse in Bengali Language: In this article, we are providing বিজ্ঞান অভিশাপ বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা for students. Bengali Essay/Paragraph on Science is Curse for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10. ইউএসএ, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইউকে, ইণ্ডিয়া, পাকিস্থান এবং চায়না নিউক্লিয়ার বােম সৃষ্টি করে এতই শক্তি সঞ্চয় করেছে যে, যে কোন মুহূর্তে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে। উপগ্রহে যাত্রা করার জন্য বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং এর ফলে আমাদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে যাচ্ছে, এর ফলে মানুষের জীবন অত্যাধিক সংকটের মুখে পতিত হচ্ছে। উন্নততর প্রযুক্তি বিদ্যার অনুসন্ধানের জন্য প্রতিটি বৈজ্ঞানিক ব্যস্ত এবং সেই দিনের আর বেশী দেরী নেই যেদিন একটা সুইচ দেওয়ার সাথে সাথে সমগ্র মাৰ সমাজটি অতীতের তলায় তলিয়ে যাবে। হয়তাে শুধুমাত্র সামাজিক প্রাণীগুলিই বেঁচে থাকবে এবং বিশ্বের অন্য কোথাও নূতন স্থান সন্ধানের জন্য পুনরায় চেষ্টা করা হবে। কোটি কোটি মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় মৃত্য বরণ করবে, কারণ সাংসারিক খরচের অর্ধেকটাই প্রতিরক্ষার খরচ হিসাবে ব্যয় করা হবে। ভারতের উদাহরণই নেওয়া যাক।

Bengali Essay on "Science is Curse", "বিজ্ঞান অভিশাপ বাংলা অনুচ্ছেদ রচনা" for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10

Advertisement

Put your ad code here, 100+ social counters$type=social_counter.

• fixedSidebar
• showMoreText

/gi-clock-o/ WEEK TRENDING$type=list

• गम् धातु के रूप संस्कृत में – Gam Dhatu Roop In Sanskrit गम् धातु के रूप संस्कृत में – Gam Dhatu Roop In Sanskrit यहां पढ़ें गम् धातु रूप के पांचो लकार संस्कृत भाषा में। गम् धातु का अर्थ होता है जा...

• दो मित्रों के बीच परीक्षा को लेकर संवाद - Do Mitro ke Beech Pariksha Ko Lekar Samvad Lekhan दो मित्रों के बीच परीक्षा को लेकर संवाद लेखन : In This article, We are providing दो मित्रों के बीच परीक्षा को लेकर संवाद , परीक्षा की तैयार...

RECENT WITH THUMBS$type=blogging$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$c=4$va=0

• 10 line essay
• 10 Lines in Gujarati
• Aapka Bunty
• Aarti Sangrah
• Akbar Birbal
• anuched lekhan
• asprishyata
• Bahu ki Vida
• Bengali Essays
• Bengali Letters
• bengali stories
• best hindi poem
• Bhagat ki Gat
• Bhagwati Charan Varma
• Bhishma Shahni
• Bhor ka Tara
• Boodhi Kaki
• Chandradhar Sharma Guleri
• charitra chitran
• Chief ki Daawat
• Chini Feriwala
• chitralekha
• Chota jadugar
• Claim Kahani
• Dairy Lekhan
• Daroga Amichand
• deshbhkati poem
• Dharmaveer Bharti
• Dharmveer Bharti
• Diary Lekhan
• Do Bailon ki Katha
• Dushyant Kumar
• Eidgah Kahani
• Essay on Animals
• festival poems
• French Essays
• funny hindi poem
• funny hindi story
• German essays
• Gujarati Nibandh
• gujarati patra
• Guliki Banno
• Gulli Danda Kahani
• Haar ki Jeet
• Harishankar Parsai
• hindi grammar
• hindi motivational story
• hindi poem for kids
• hindi poems
• hindi rhyms
• hindi short poems
• hindi stories with moral
• Information
• Jagdish Chandra Mathur
• Jahirat Lekhan
• jainendra Kumar
• jatak story
• Jayshankar Prasad
• Jeep par Sawar Illian
• jivan parichay
• Kashinath Singh
• kavita in hindi
• Kedarnath Agrawal
• Khoyi Hui Dishayen
• Kya Pooja Kya Archan Re Kavita
• Madhur madhur mere deepak jal
• Mahadevi Varma
• Mahanagar Ki Maithili
• Main Haar Gayi
• Maithilisharan Gupt
• Majboori Kahani
• malayalam essay
• malayalam letter
• malayalam speech
• malayalam words
• Mannu Bhandari
• Marathi Kathapurti Lekhan
• Marathi Nibandh
• Marathi Patra
• Marathi Samvad
• marathi vritant lekhan
• Mohan Rakesh
• Mohandas Naimishrai
• MOTHERS DAY POEM
• Narendra Sharma
• Nasha Kahani
• Neeli Jheel
• nursery rhymes
• odia letters
• Panch Parmeshwar
• panchtantra
• Parinde Kahani
• Paryayvachi Shabd
• Poos ki Raat
• Portuguese Essays
• Punjabi Essays
• Punjabi Letters
• Punjabi Poems
• Raja Nirbansiya
• Rajendra yadav
• Rakh Kahani
• Ramesh Bakshi
• Ramvriksh Benipuri
• Rani Ma ka Chabutra
• Russian Essays
• Sadgati Kahani
• samvad lekhan
• Samvad yojna
• Samvidhanvad
• Sandesh Lekhan
• sanskrit biography
• Sanskrit Dialogue Writing
• sanskrit essay
• sanskrit grammar
• sanskrit patra
• Sanskrit Poem
• sanskrit story
• Sanskrit words
• Sara Akash Upanyas
• Savitri Number 2
• Shankar Puntambekar
• Sharad Joshi
• Shatranj Ke Khiladi
• short essay
• spanish essays
• Striling-Pulling
• Subhadra Kumari Chauhan
• Subhan Khan
• Sudha Arora
• Sukh Kahani
• suktiparak nibandh
• Suryakant Tripathi Nirala
• Swarg aur Prithvi
• Tasveer Kahani
• Telugu Stories
• UPSC Essays
• Usne Kaha Tha
• Vinod Rastogi
• Wahi ki Wahi Baat
• Yahi Sach Hai kahani
• Yoddha Kahani
• Zaheer Qureshi
• कहानी लेखन
• कहानी सारांश
• तेनालीराम
• मेरी माँ
• लोककथा
• शिकायती पत्र
• सूचना लेखन
• हजारी प्रसाद द्विवेदी जी
• हिंदी कहानी

RECENT$type=list-tab$date=0$au=0$c=5

Replies$type=list-tab$com=0$c=4$src=recent-comments, random$type=list-tab$date=0$au=0$c=5$src=random-posts, /gi-fire/ year popular$type=one.

• अध्यापक और छात्र के बीच संवाद लेखन - Adhyapak aur Chatra ke Bich Samvad Lekhan अध्यापक और छात्र के बीच संवाद लेखन : In This article, We are providing अध्यापक और विद्यार्थी के बीच संवाद लेखन and Adhyapak aur Chatra ke ...

Join with us

Footer Social$type=social_icons

• loadMorePosts
• relatedPostsText
• relatedPostsNum

essay on Superstition

essay on Superstition বাংলায় | essay on Superstition In Bengali - 1400 শব্দসমূহে

    কুসংস্কার অজ্ঞতা ও অযৌক্তিকের সন্তান।     আমাদেরকে কুসংস্কার বলা হয় যখন আমরা নিজেদেরকে অবর্ণনীয় বলে মনে হয় এমন ঘটনার জন্য কাল্পনিক কারণের অধীন হই, যখন আমরা অন্ধভাবে বিশ্বাস করি যে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি অতিপ্রাকৃত শক্তির কারণে ঘটতে পারে।     এই অনুমানের অধীনে, আমরা আমাদের বিশ্বাস রাখি এমন কর্মে যা মূলত অযৌক্তিক।    

    উদাহরণস্বরূপ, একজন অজ্ঞ মানুষ বুঝতে পারে না কেন গ্রহন হয়।     তিনি একটি কাল্পনিক ব্যাখ্যা উদ্ভাবন করেছেন যে এটি কিছু পৈশাচিক শক্তি গ্রাস করার কারণে হয়েছে এবং এটিকে পুরুষদের কিছু নৈতিক স্খলনের জন্য দায়ী করেছেন।     তাই সে পুরি-কাল্পনিক স্নানের আচারের মধ্য দিয়ে যায়, বিভিন্ন ধরণের আচার-অনুষ্ঠান করে অশুভ আত্মাকে ব্যায়াম করতে চায়।    

    একইভাবে, যখন পুরুষরা কলেরা বা স্মল পক্সের মতো মহামারীর প্রকৃত কারণগুলি জানত না, তখন তারা রাক্ষস উদ্ভাবন করেছিল যাদেরকে 'হাঁটু-পূজা এবং প্রশংসা' দ্বারা অনুশোচনা করতে হয়েছিল।     একইভাবে, যখন অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেছিল তখন তা অন্ধভাবে নক্ষত্রের কারসাজির জন্য দায়ী করা হয়েছিল।     সাধারণত পুরোহিত শ্রেণীই এই আচারের সুবিধাভোগী ছিল।     তাই, তারা শুধু এগুলো উদ্ভাবনই করেনি, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের মনে এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সবকিছু করেছে।    

You might also like:

• 10 Lines Essays for Kids and Students (K3, K10, K12 and Competitive Exams)
• 10 Lines on Children’s Day in India
• 10 Lines on Christmas (Christian Festival)
• 10 Lines on Diwali Festival

    আজ আমরা ভাল জানি.     আমরা এমন ঘটনাগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শিখেছি যা রহস্যময় হিসাবে ভয়ঙ্কর ছিল।     তারপরও কুসংস্কারের মানসিক অভ্যাস রয়ে গেছে।     আমরা সাধারণ বস্তুগত জিনিসগুলিকে দুষ্টুমিতে পরিপূর্ণ লক্ষণ হিসাবে দেখি।     আমরা যদি হোঁচট খাই, হাঁচি, বা হাঁচি, কেউ যদি পিছন থেকে আমাদের ডাকে, আমরা ভয়ে বিচলিত হয়ে পড়ি।     আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি, কারণ আমরা এতে কিছু অদেখা দূষিত শক্তির প্রভাব দেখতে পাই।     আমরা ভয় এবং স্নায়বিক আতঙ্ক দ্বারা ভূতুড়ে আছি।     এমনকি কিছু বিশিষ্ট বিজ্ঞানীও এই ধরনের অন্ধ ভয় বা বাধার শিকার হয়েছিলেন।    

    ফলাফল হল যে কুসংস্কার একটি খারাপ অভ্যাস, জীবনে একটি হতাশাজনক প্রভাবে পরিণত হয়।     এটা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে নাড়া দেয়।     এমনকি যখন আমরা সঠিকভাবে আলোকিত হই, আমাদের মন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।     আমাদের যুক্তিবাদী অনুষদগুলি অজানা ভয়ের প্রভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে।     আমরা যখন বিদেশে যাই তখন আমরা পঞ্জিকাগুলির সাথে পরামর্শ করি।     আমরা যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ গ্রহণ করি তখন আমরা পুরোহিতের আশীর্বাদ কামনা করি;     আমরা তাবিজ পরিধান করি এবং অশুভ প্রভাব এড়াতে উচ্চারণ করি।     আমরা সচেতনভাবে এটা করি না;     প্রায়ই আমরা এটা আমাদের কারণের বিরুদ্ধে করি।     একটি মন্ত্র আমাদের উপর, এবং আমরা এটি পরিত্রাণ পেতে পারি না.    

    কোন সন্দেহ নেই যে আধুনিক জীবনে কুসংস্কার একটি গুরুতর প্রতিবন্ধকতা;     প্রায়ই এর প্রভাব বিপর্যয়কর।     আমরা গুটিবসন্তের মহামারীতে ভুগছি কারণ অজ্ঞ লোকেরা টিকাকে অবহেলা, অভিশাপের জন্য দেবী সীতালার পূজায় বিশ্বাস করে।    

• 10 Lines on Dr. A.P.J. Abdul Kalam
• 10 Lines on Importance of Water
• 10 Lines on Independence Day in India
• 10 Lines on Mahatma Gandhi

    ইউরোপ একটি বৈজ্ঞানিক প্রতিরোধক হিসাবে টিকা গ্রহণ করে গুটিবসন্ত নির্মূল করেছে।     যখন আমরা বিষয়গুলির প্রকৃত কারণ সম্পর্কে সচেতন হই, তখন মনের এই ধরনের অভ্যাস হাস্যকর, অন্ধকার যুগের একটি অবশেষ।     কুসংস্কারের একমাত্র চিকিৎসা হল শিক্ষা, যুক্তি শক্তির বিকাশ এবং বিজ্ঞানমনস্ক।     এমনকি কিছু বিজ্ঞানীকে প্রায়শই কুসংস্কারাচ্ছন্ন দেখা যায়।     তারা কিছু বিশ্বাস ধারণ করে, যা ধর্মীয় আধিপত্যের মধ্যযুগ থেকে নেমে এসেছে।     জাপানিরা উন্নত মানুষ।     তবুও তাদের অনেকের মনের মূলে রয়েছে কুসংস্কার ও কুসংস্কার।     একজন আলোকিত ইউরোপীয় প্রায়শই তেরোতম টেবিলে বসেন না বা ম্যাচের একই ছলচাতুরি দ্বারা দ্বিতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে তার সিগারেট জ্বালান না।     সুতরাং, কুসংস্কার প্রায়শই মনের একটি বর্ণ এবং অন্যকে সংক্রামিত করে।    

    'হ্যামলেট'-এ শেক্সপিয়র বলেছেন, "আপনার দর্শনে স্বপ্নের চেয়ে স্বর্গ এবং পৃথিবীতে আরও অনেক কিছু রয়েছে"।     সর্বোপরি, পৃথিবী 'শেক্সপিয়রের দিনের চেয়ে প্রায় চারশ' বছরের পুরনো, এবং আমাদের ঋষি ও ঋষিদের থেকে হাজার হাজার বছর পুরোনো, আমরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছি যে বস্তুগত ঘটনাগুলির অ-বস্তুগত উত্স থাকতে পারে না। .     আমরা যদি এটা বিশ্বাস করি তাহলে মনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন অভ্যাস থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব যদিও তারা কষ্ট করে।     সর্বোপরি, কুসংস্কার শুধুমাত্র ছোট মনের ধর্ম, যেমন বার্ক উচ্চারণ করেছেন।    

• 10 Lines on Mother’s Day
• 10 Lines on Our National Flag of India
• 10 Lines on Pollution
• 10 Lines on Republic Day in India

essay on Superstition বাংলায় | essay on Superstition In Bengali

Question and Answer forum for K12 Students

Superstition Essay | Essay on Superstition for Students and Children in English

Superstition Essay: Superstition is nothing but irrational belief in something. Weakness, fear, melancholy, together with ignorance are the true sources of superstition. If a Hindu believes that a dip in holy Ganges will wash away all his sins, it is just an irrational belief without any basis. It is often a tradition passed down to us from our forefathers.

Superstition is the religion of feeble minds. – Edmund Burke

You can read more  Essay Writing  about articles, events, people, sports, technology many more.

Long and Short Essays on Superstition for Kids and Students in English

Given below are two essays in English for students and children about the topic of ‘Superstition’ in both long and short form. The first essay is a long essay on the Superstition of 400-500 words. This long essay about Superstition is suitable for students of class 7, 8, 9 and 10, and also for competitive exam aspirants. The second essay is a short essay on Superstition of 150-200 words. These are suitable for students and children in class 6 and below.

Long Essay on Superstition 400 Words in English

Below we have given a long essay on Superstition of 500 words is helpful for classes 7, 8, 9 and 10 and Competitive Exam Aspirants. This long essay on the topic is suitable for students of class 7 to class 10, and also for competitive exam aspirants.

Superstition flourished in the past when mystery surrounded everything, and man had no knowledge and could not understand the phenomenon of nature. He believed in supernatural and worshipped various gods and goddesses. Every ordinary fact which he could not understand was considered a miracle. Later the people who were more intelligent became his teacher, also befooled him into believing their clever performances to be miracles. The objects of nature, changes of seasons and everything he could not understand became a miracle and thus a superstition.

Every country has its own superstitions, but it can be agreed without contraction, that the east is more contemplative and thus more superstitious than west.

There are some superstitions which are universally recognized. For instance, a shooting star is considered a very bad omen universally. Shakespeare writes in his play Julius Caesar:

When beggars die there are no comets seen in the skies. Heavens themselves set forth the death of princes. Both in England and India the howling of a dog at night is supposed to show the presence of an evil spirit nearby.

Some more popular superstitions prevalent in India. If a person is to start a journey and another person happens to sneeze only once, it is considered ill for the person who is to begin his journey, although two or three sneezes are considered harmless. Among the Hindus it is considered an ill omen to begin a new task on Saturday.

Again, studies can be started on Saturday it is considered lucky. If a cat crosses your path, it is not a good omen. The screech of an owl is considered ill omen and harbinger of some calamity. If a man’s right eye throbs, it is indicative of some good but if a woman’s right eye throbs, it is considered ill-omen. The itching of right palm is indicative of the arrival of money. If a crow sits on the head of a person, his death is supposed to be imminent. Considering buying or bringing iron in the house on a Saturday is dangerous is another superstition.

In England, even today, the number thirteen is feared and avoided. They avoid walking under a ladder to avoid disaster.

Short Essay on Superstition 200 Words in English

Below we have given a short essay on Superstition is for Classes 1, 2, 3, 4, 5 and 6. This short essay on the topic is suitable for students of class 6 and below.

There are many superstitions based on ghosts, witches and spirits. Often, houses are supposed to be haunted. Lincoln’s ghost is still seen in White House. When a woman suffers from hysteria, she is supposed to be overpowered by some ghost or witch. Many people, even the educated ones go to some so-called fraudulent people to get rid of evil spirits. Such people are another version of witch-doctor of South Africa.

The source of superstition lies in the thinking of man. When some problem is not removed by earthly efforts or is not understood, we tend to be superstitious and try to find its solution by other means. Burke has rightly said that superstition is the religion of feeble minds. In reality weakness, fear of the unknown, ignorance and illiteracy are the true sources of superstition.

Modern era with all its progress of education, science and technology is not devoid of superstition. New superstitions in idolizing child, laborer and other factors are present. Therefore superstitions, it seems, are going to persist. To some extent, everyone is superstitious, only when it goes to its extremes, it is dangerous. According to Goethe superstition is the poetry of life.

Superstitions stand in the way of progress and civilization and make our perspective limited and enhance our weakness. We hesitate and falter in taking decisions and therefore we cannot contribute to progress thoughts. Superstitions are a hindrance to clear thinking, reasoning and logic. Superstition, at best, should be avoided and not encouraged otherwise we will also be doing the same what our forefathers did.

Kolkata Science City Paragraph In English

Are you searching online for Kolkata Science City Paragraph In English For All Classes | Kolkata Science City Paragraph Writing | ( FREE PDF )

You are in the right post.

So there is a request to read the post from beginning to end.

Kolkata Science City Paragraph Writing

Introduction 

And there is infinite hope in Kolkata. Where are the new amazing discoveries of science? Kolkata is the place where progress has been made to realize Bengali dreams. And for which India’s first subway was launched here. Vidyasagar Bridge, the second largest international bridge in the world, is floodlit in Eden Gardens and has advanced locations like Science City.

Kolkata is the seat of science

Kolkata is the seat of Indian science. A long time ago science was practised here. And Science City can be considered his contribution. The ‘Bose Science Temple’ was established here, and renowned chemical scientist Prafulla Chandra Roy, and Dr Meghnad Saha established the Institute of Nuclear Physics. In medical science, Dr Bidhanchandra Roy, Upendranath Brahmachari, and Neelratan Sarkar these accomplished Bengali scientists have continued their activities in Kolkata. And this Vigyannagari or Science City can be called a tribute to them.

Read More – 

Science in Everyday Life Paragraph 

DOWNLOAD FREE PDF

Purpose of identifying Science City

The state government wants to establish Kolkata as a science city. And so they turned Kolkata into an international city. Wanted to make the people of Kolkata science-minded and environment conscious. Here before Birla Industrial and Technological Museum has been established. Through this, the evolution of science and technology, as well as the present progress, is sought to be accelerated. Kolkata: Also aims to make science acceptable to people. Various causes and rules can be found here by hand-checking. Currently, this science city has gained fame in Kolkata.

Why Vigyannagar is attractive?

Vigyannagari is developed and has various interesting objects, which we could not imagine. There are strange creatures, time machines, earthquakes, quicksand, and swirling ocean waves on Astrovision’s sky-pair screen. The fearsome dinosaurs of the prehistoric age attract people. All the unknown theories are known here. And along with that entertainment is also for busy people. Also, Energy Park, Eco pool are all present here.

The Science City of Kolkata is our pride. This science city of ours is a pillar of science in India. The discovery of Science City is an icon of unknown joy to the people of Kolkata and India. Unknown theories and various marvels of science have laid the foundation for direct experience here. Building this science-only city at a huge expense will make science more popular.

Kolkata Science City Paragraph In English For All Classes | Kolkata Science City Paragraph Writing |

Thank you so much for reading this post.

If you liked the post, don’t forget to share the post by clicking the share button.

Similar Posts

Swachh Bharat Abhiyan Essay In English

Share the Post     Would you like to know more about Swachh Bharat Abhiyan Essay In English?  If so, you have reached the right post. So there is a request to read the post from beginning to end. Swachh Bharat Abhiyan Essay  Swachh Bharat Abhiyan is a “Clean India” drive and mission that aims to maintain…

Science in Everyday Life Paragraph

Share the Post    Are you searching online for Science in Everyday Life Paragraph  100 Words For All Classes | Science in Everyday Life Short Essay | Short Note on Science in Everyday Life | ( FREE PDF ) If Yes, You are in the right post. So there is a request to read the post from…

Environmental Pollution Essay

Share the Post    Would you like to know more about Environmental Pollution Essay? If so, you have reached the right post. I am sharing with you in this post – Environmental Pollution Essay In English, Environmental Pollution Essay in English 150 words, Environmental Pollution Paragraph etc. So there is a request to read the post from…

Importance of Sports Short Essay

Share the Post    Are you searching online for Importance of Sports Short Essay Pdf  | Importance of Sports Short Paragraph | If Yes, You are in the right post. So there is a request to read the post from beginning to end. Importance of Sports Short Essay Pdf Introduction The healthy and beautiful life of people…

Bengal Season Paragraph

Share the Post    Would you like to know more about Bengal Season Paragraph, Six Seasons Essay in English? If so, you have reached the right post. Introduction The form of Bengal is very beautiful. This beauty of Bengal can be seen in the diversity of nature. Nature has unhesitatingly spread the dali of its form through…

Computer Short Essay In English

Share the Post    Are you searching online for Computer Short Essay In English For All Classes | Computer Short Note In English | Use of Computer Essay In English For Class 10, 9, 8, 11, 12 | ( FREE PDF ) If Yes, You are in the right post. So there is a request to read…

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

রচনা সমগ্র - ২০০+ বাংলা রচনা

About this app

Data safety.

What's new

App support, more by finalapps.

• Skip to primary navigation
• Skip to main content
• Skip to primary sidebar
• Skip to secondary sidebar
• Skip to footer

AFD CSD Price List 2024

AFD CSD online portal at  https://afd.csdindia.gov.in

Science and Superstition Essay PDF

By dcsd February 24, 2023

Download Science and Superstition Essay PDF

You can download the Science and Superstition Essay PDF for free using the direct download link given at the bottom of this article.

Overview of Science and Superstition

It is believed that the systematic study of whatever is observable, testable and verifiable in the physical world and the knowledge derived from that study is called science. The word science in Bengali language means special knowledge. A person associated with extensive and specialized knowledge of a subject as a result of continuous observation and research is known as a scientist.

Those who are scientists acquire knowledge by adopting special scientific methods and techniques and try to discover basic laws and general truths of nature and society. The present world is driven by special progress science, so the importance of science is considered immense. So friends, if you like this information, then download science and superstition essay pdf to get complete information about this topic.

Science and Superstition Essay

Introduction:

Science and superstition are two concepts that have been in a constant state of conflict. Science is based on logic, reason, and evidence, while superstition relies on beliefs, traditions, and faith. While science has been able to explain many phenomena that were previously considered mysterious, superstitions still hold sway in many cultures and societies. In this essay, we will explore the relationship between science and superstition, their benefits and disadvantages, and how they can coexist.

Benefits of Science:

Science has brought about many benefits to mankind. It has helped us to understand the world around us and to find solutions to many problems. Science has been responsible for many medical advancements that have helped to extend human life expectancy, including the development of vaccines, antibiotics, and other treatments for diseases. It has also led to technological advancements that have improved the quality of life for people in many ways. For example, the invention of the Internet has made it possible for people to communicate and access information from anywhere in the world.

Advantages of Science over Superstition:

One of the main advantages of science over superstition is that it is based on evidence and reason rather than beliefs and traditions. This means that scientific theories are subjected to rigorous testing and scrutiny before they are accepted. In contrast, superstitions are often based on anecdotal evidence or hearsay, and are not subject to the same level of scrutiny.

Another advantage of science is that it encourages critical thinking and questioning of established beliefs. Scientists are constantly questioning existing theories and searching for new knowledge, while superstitions are often resistant to change and do not encourage critical thinking.

Disadvantages of Superstition:

Superstitions can have many negative consequences. They can lead to irrational fears and anxiety, and can cause people to make decisions based on beliefs rather than evidence. This can be particularly dangerous in situations where people are faced with life or death decisions, such as in medical emergencies.

Superstitions can also lead to discrimination and prejudice. For example, superstitions about certain groups of people can lead to discrimination and persecution, as has been the case with witch hunts and other forms of persecution throughout history.

How Science and Superstition can Coexist:

While science and superstition may seem to be in conflict, there are ways in which they can coexist. One way is to recognize that superstitions are often rooted in cultural traditions and beliefs, and that they can have important social and psychological functions. For example, many superstitions are associated with rites of passage, such as weddings and funerals, and can help to provide a sense of meaning and connection to cultural heritage.

Another way in which science and superstition can coexist is by recognizing that both have their limitations. While science can explain many things, there are still mysteries that have yet to be solved, and there may be phenomena that cannot be explained by science alone. Similarly, while superstitions may not be based on scientific evidence, they can still provide comfort and solace in times of uncertainty and fear.

Conclusion:

In conclusion, the relationship between science and superstition is complex and multifaceted. While science has brought about many benefits and advancements, superstitions continue to hold sway in many cultures and societies. However, it is important to recognize the limitations of both science and superstition, and to find ways in which they can coexist in a way that is beneficial to society as a whole. Ultimately, both science and superstition have a role to play in our understanding of the world and our place in it.

Science and Superstition Essay PDF Download Link

Prices are subject to change without notice, so customers should always check AFD CSD Online Portal for updates before making their purchase -  afd.csdindia.gov.in login page

Essay On Superstition

500 words essay on superstition.

Ever since a long time, we have seen man believe in some kind of power unseen. Even though they can’t see it, they feel it is present and working. This is what gives rise to superstitions. They are unreasonable and irrational but they still exist all over the world. Through essay on superstition, we will go through it in detail.

Origin of Superstitions

The man started to believe in superstitions when he got a feeling that humans are at the mercy of natural elements. Similarly, some superstitions were also created because of social values. As a result, people worship forces of nature for a long time.

The Greeks and Pagans used to worship elements of nature in the form of Gods and Goddesses. Same is the case with Indian tradition. People continue to worship the sun, moon, stars, planets, plants and more believing these things have the power to influence our lives.

You might have heard ‘it is because of the impact of some evil star’ and more when a disease overtakes or disaster strikes. Even the people in the West have been believing in them. You will find instances in Shakespeare’s plays where he includes things like omens, witches and more.

In fact, ever since a long time till date, people still consider the number 13 to be unlucky. Similarly, salt spilling over the dinner table is also an ill-omen. In India , people consider the black cat crossing the way to be unlucky. Similar is the case of an owl hooting or a dog wailing.

Get the huge list of more than 500 Essay Topics and Ideas

India and Superstitions

India has a long history of superstitions. There are many superstitions which people in this country follow. When someone sneezes during the time of departure, people consider it unlucky.

Similarly, when you hear long mewing of a cat, people consider it a bad omen. Alternatively, offering curd before the start of any journey is auspicious. A group which follows superstitions a lot are students appearing for an examination.

Weeks before exams, the visit to temples starts to grow. Some of the students also get a taveez with a lucky stone to help them out. Further, some students place their stationery for the exam in the prayer room.

Most common superstitions include not cutting nails at night, not using the broom after sunset, not opening the scissors without cutting anything, not looking at oneself in a broken mirror and many more.

Even some political leaders in India believe in superstitions. For instance, they wait for an auspicious day to file their nomination or take an oath. In other words, even in the highest places, people do follow superstitions.

Conclusion of the Essay on Superstition

If we look at it closely, there is no logic as such behind the beliefs in superstitions. However, they have grown age-old and despite all the scientific advancement, they are not going anywhere soon. However, it is better to subject ourselves less to them otherwise each moment of our life will be on the edge.

FAQ of Essay on Superstition

Question 1: What are some superstitions followed in India?

Answer 1: In India, people consider the black cat crossing the way to be unlucky. Similar is the case of an owl hooting or a dog wailing. Indians also offer curd before the start of a journey.

Question 2: What is the importance of superstition?

Answer 2: For several people, engaging with superstitious behaviours offers a sense of control and eases anxiety. This is why levels of superstition rise at times of stress and angst. This is mostly the case during times of economic crisis and social uncertainty notably wars and conflicts.

Customize your course in 30 seconds

Which class are you in.

• Travelling Essay
• Picnic Essay
• Our Country Essay
• My Parents Essay
• Essay on Favourite Personality
• Essay on Memorable Day of My Life
• Essay on Knowledge is Power
• Essay on Gurpurab
• Essay on My Favourite Season
• Essay on Types of Sports

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Download the App

• Website Inauguration Function.
• Vocational Placement Cell Inauguration
• Media Coverage.
• Certificate & Recommendations
• Privacy Policy
• Science Project Metric
• Social Studies 8 Class
• Computer Fundamentals
• Introduction to C++
• Programming Methodology
• Programming in C++
• Data structures
• Boolean Algebra
• Object Oriented Concepts
• Database Management Systems
• Open Source Software
• Operating System
• PHP Tutorials
• Earth Science
• Physical Science
• Sets & Functions
• Coordinate Geometry
• Mathematical Reasoning
• Statics and Probability
• Accountancy
• Business Studies
• Political Science
• English (Sr. Secondary)

Hindi (Sr. Secondary)

• Punjab (Sr. Secondary)
• Accountancy and Auditing
• Air Conditioning and Refrigeration Technology
• Automobile Technology
• Electrical Technology
• Electronics Technology
• Hotel Management and Catering Technology
• IT Application
• Marketing and Salesmanship
• Office Secretaryship
• Stenography
• Hindi Essays
• English Essays

Letter Writing

• Shorthand Dictation

Essay on “Some Indian Superstitions” Complete Essay, Paragraph, Speech for Class 10, 12 Students.

Some indian superstitions.

India is considered as one of the most superstitious countries because There many are ignorant, backward, and believe in the power of omens. Ignorance leads to superstition. People want to achieve all their ambitions without putting in the best efforts. They are interested in performing many ceremonies and follow the persons who tell them the impact of evil spirits; such people always live in a fear of ghosts and take each step of daily routine keeping in mind the superstition associated with it. Superstitions have indeed led people to believe in the existence of supernatural beings.

Some superstitions are prevalent not only in India but also in many other countries. However, the number of superstitions is much higher in India. Actually, there are so many common and small superstitions that at each place, there is a superstition existing. If one sneezes, it is not considered good to go out. It is considered an ill-luck if we see a man with an empty pitcher or if a cat crosses one’s way. All these are considered ill-omens and highly inauspicious. Seeing a one-eyed man early in the morning is considered so bad that people think that they won’t get any meals during the day. If an owl is seen sitting on top of the house, it is taken as a sure sign of coming ruin and destruction to the family of that house. A guest is predicted if a crow starts crowing early in the morning at one’s rooftop.

Many superstitions are made for betterment based on their inherent advantages. Such superstitions have solid reasoning and common sense behind their cause. It is said that the small babies should not be fed outside, under the open sky, their food should always be given in covered places. This is perhaps to avoid exposure of food to possible bacterial infection outside. Grown-up children or adults should not cross over small babies. It is usually seen that bigger children try to cross the little children. But it is not considered a good sign, it is truly sure that such crossovers can injure little babies.

Superstitions also teach science in very common, popular and acceptable ways. Like plucking of a flower at night is considered a sin. Similarly, the peepal trees are considered abodes of ghosts at night. The wells which have been closed are considered underground houses of evil spirits. This is for the betterment of people because a closed well can store various poisonous gases which if leaks can cause fatal injuries. Similarly, some other superstitions prevent us from doing such activities which can do harm in terms of the scientific approach. Such superstitions can rightly be told to children for their safeguard.

Man is a social animal and is weak in his conscience. That is why he lives in fear of unknown dangers that may strike, due to the presence of an evil spirit or ghost in a lonely or dark corner. All superstitions are signs of human weakness, particularly with reference to sights of ghosts and evil spirits. In broad daylight, no one has ever seen a ghost or gets afraid thinking a ghost is nearby. Actually, we ourselves are causes of such unforeseen misfortunes and accidents. We keep all such happenings at the back of our minds and go on thinking whenever lonely or in the dark. We should come out of such ignorant superstitions and try to be in good humor for good of all.

The increase in awareness and education level can definitely remove most superstitions associated with various innocent and ignorant people of our country. Today, most of the educated youth do not pay any attention to such superstitions and treat it all as nonsense. But in some people, these superstitions are so deeply rooted that any kind of convincing would do nothing to remove their superstitious faiths. Even in some other countries the number thirteen is regarded as very

Our People don’t like to be associated with this number. So we have superstitions not only in India but all over the world though in varying degrees.

About evirtualguru_ajaygour

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Quick Links

Popular Tags

Visitors question & answer.

• Gangadhar Singh on Essay on “A Journey in a Crowded Train” Complete Essay for Class 10, Class 12 and Graduation and other classes.
• Hemashree on Hindi Essay on “Charitra Bal”, “चरित्र बल” Complete Hindi Essay, Paragraph, Speech for Class 7, 8, 9, 10, 12 Students.
• S.J Roy on Letter to the editor of a daily newspaper, about the misuse and poor maintenance of a public park in your area.
• ashutosh jaju on Essay on “If there were No Sun” Complete Essay for Class 10, Class 12 and Graduation and other classes.
• Unknown on Essay on “A Visit to A Hill Station” Complete Essay for Class 10, Class 12 and Graduation and other classes.

Download Our Educational Android Apps

Latest Desk

• The Future of Democracy in India | Social Issue Essay, Article, Paragraph for Class 12, Graduation and Competitive Examination.
• Democracy Recedes as a Global Ideal | Social Issue Essay, Article, Paragraph for Class 12, Graduation and Competitive Examination.
• Centre-State Financial Relations | Social Issue Essay, Article, Paragraph for Class 12, Graduation and Competitive Examination.
• Presidential System is More Suitable to India | Social Issue Essay, Article, Paragraph for Class 12, Graduation and Competitive Examination.
• Sanskrit Diwas “संस्कृत दिवस” Hindi Nibandh, Essay for Class 9, 10 and 12 Students.
• Nagrik Suraksha Diwas – 6 December “नागरिक सुरक्षा दिवस – 6 दिसम्बर” Hindi Nibandh, Essay for Class 9, 10 and 12 Students.
• Jhanda Diwas – 25 November “झण्डा दिवस – 25 नवम्बर” Hindi Nibandh, Essay for Class 9, 10 and 12 Students.
• NCC Diwas – 28 November “एन.सी.सी. दिवस – 28 नवम्बर” Hindi Nibandh, Essay for Class 9, 10 and 12 Students.
• Example Letter regarding election victory.
• Example Letter regarding the award of a Ph.D.
• Example Letter regarding the birth of a child.
• Example Letter regarding going abroad.
• Letter regarding the publishing of a Novel.

Vocational Edu.

• English Shorthand Dictation “East and Dwellings” 80 and 100 wpm Legal Matters Dictation 500 Words with Outlines.
• English Shorthand Dictation “Haryana General Sales Tax Act” 80 and 100 wpm Legal Matters Dictation 500 Words with Outlines meaning.
• English Shorthand Dictation “Deal with Export of Goods” 80 and 100 wpm Legal Matters Dictation 500 Words with Outlines meaning.
• English Shorthand Dictation “Interpreting a State Law” 80 and 100 wpm Legal Matters Dictation 500 Words with Outlines meaning.

The Eclipse That Ended a War and Shook the Gods Forever

Thales, a Greek philosopher 2,600 years ago, is celebrated for predicting a famous solar eclipse and founding what came to be known as science.

Credit... John P. Dessereau

Supported by

• Share full article

By William J. Broad

William J. Broad studied the history of science in graduate school and still follows it for the light it casts on modern developments.

• April 6, 2024

In the spring of 585 B.C. in the Eastern Mediterranean, the moon came out of nowhere to hide the face of the sun, turning day into night.

Back then, solar eclipses were cloaked in scary uncertainty. But a Greek philosopher was said to have predicted the sun’s disappearance. His name was Thales. He lived on the Anatolian coast — now in Turkey but then a cradle of early Greek civilization — and was said to have acquired his unusual power by abandoning the gods.

The eclipse had an immediate worldly impact. The kingdoms of the Medes and Lydian had waged a brutal war for years. But the eclipse was interpreted as a very bad omen, and the armies quickly laid down their arms. The terms of peace included the marriage of the daughter of the king of Lydia to the son of the Median king.

The impiety of Thales had a more enduring impact, his reputation soaring over the ages. Herodotus told of his foretelling. Aristotle called Thales the first person to fathom nature. The classical age of Greece honored him as the foremost of its seven wise men.

Today, the tale illustrates the awe of the ancients at the sun’s disappearance and their great surprise that a philosopher knew it beforehand.

The episode also marks a turning point. For ages, eclipses of the sun were feared as portents of calamity. Kings trembled. Then, roughly 2,600 years ago, Thales led a philosophical charge that replaced superstition with rational eclipse prediction.

Today astronomers can determine — to the second — when the sun on April 8 will disappear across North America. Weather permitting, it’s expected to be the most-viewed astronomical event in American history, astonishing millions of sky watchers.

“Everywhere you look, from modern times back, everyone wanted predictions” of what the heavens would hold, said Mathieu Ossendrijver , an Assyriologist at the Free University of Berlin. He said Babylonian kings “were scared to death by eclipses.” In response, the rulers scanned the sky in efforts to anticipate bad omens, placate the gods and “strengthen their legitimacy.”

By all accounts, Thales initiated the rationalist view. He’s often considered the world’s first scientist — the founder of a radical new way of thinking.

Patricia F. O’Grady, in her 2002 book on the Greek philosopher, called Thales “brilliant, veracious, and courageously speculative.” She described his great accomplishment as seeing that the fraught world of human experience results not from the whims of the gods but “nature itself,” initiating civilization’s hunt for its secrets.

Long before Thales, the ancient landscape bore hints of successful eclipse prediction. Modern experts say that Stonehenge — one of the world’s most famous prehistoric sites, its construction begun some 5,000 years ago — may have been able to warn of lunar and solar eclipses.

While the ancient Chinese and Mayans noted the dates of eclipses, few early cultures learned how to predict the disappearances.

The first clear evidence of success comes from Babylonia — an empire of ancient Mesopotamia in which court astronomers made nightly observations of the moon and planets, typically in relation to gods and magic, astrology and number mysticism.

Starting around 750 B.C. , Babylonian clay tablets bear eclipse reports. From ages of eclipse tallies, the Babylonians were able to discern patterns of heavenly cycles and eclipse seasons. Court officials could then warn of godly displeasure and try to avoid the punishments, such as a king’s fall.

The most extreme measure was to employ a scapegoat. The substitute king performed all the usual rites and duties — including those of marriage. The substitute king and queen were then killed as a sacrifice to the gods, the true king having been hidden until the danger passed.

Initially, the Babylonians focused on recording and predicting eclipses of the moon, not the sun. The different sizes of eclipse shadows let them observe a greater number of lunar disappearances.

The Earth’s shadow is so large that, during a lunar eclipse, it blocks sunlight from an immense region of outer space, making the moon’s disappearance and reappearance visible to everyone on the planet’s night side. The size difference is reversed in a solar eclipse. The moon’s relatively small shadow makes observation of the totality — the sun’s complete vanishing — quite limited in geographic scope. In April, the totality path over North America will vary in width between 108 and 122 miles.

Ages ago, the same geometry ruled. So the Babylonians, by reason of opportunity, focused on the moon. Eventually, they noticed that lunar eclipses tend to repeat themselves every 6,585 days — or roughly every 18 years. That led to breakthroughs in foreseeing lunar eclipse probabilities despite their knowing little of the cosmic realities behind the disappearances.

“They could predict them very well,” said John M. Steele , a historian of ancient sciences at Brown University and a contributor to a recent book , “Eclipse and Revelation.”

This was the world into which Thales was born. He grew up in Miletus, a Greek city on Anatolia’s west coast. It was a sea power . The city’s fleets established wide trade routes and a large number of colonies that paid tribute, making Miletus wealthy and a star of early Greek civilization before Athens rose to prominence.

Thales was said to have come from one of the distinguished families of Miletus, to have traveled to Egypt and possibly Babylonia , and to have studied the stars. Plato told how Thales had once tumbled down a well while examining the night sky. A maidservant, he reported, teased the thinker for being so eager to know the heavens that he ignored what lay at his feet.

It was Herodotus who, in “The Histories,” told of Thales’s predicting the solar eclipse that ended the war. He said the ancient philosopher had anticipated the date of the sun’s disappearance to “within the year” of the actual event — a far cry from today’s precision.

Modern experts, starting in 1864, nonetheless cast doubt on the ancient claim. Many saw it as apocryphal. In 1957, Otto Neugebauer, a historian of science, called it “very doubtful.”

In recent years, the claim has received new support. The updates rest on knowledge of the kind of observational cycles that Babylon pioneered. The patterns are seen as letting Thales make solar predictions that — if not a sure thing — could nevertheless succeed from time to time.

If Stonehenge might do it occasionally, why not Thales?

Mark Littmann, an astronomer, and Fred Espenak , a retired NASA astrophysicist who specializes in eclipses, argue in their book , “Totality,” that the date of the war eclipse was relatively easy to predict, but not its exact location. As a result, they write , Thales “could have warned of the possibility of a solar eclipse.”

Leo Dubal, a retired Swiss physicist who studies artifacts from the ancient past and recently wrote about Thales, agreed. The Greek philosopher could have known the date with great certainty while being unsure about the places where the eclipse might be visible, such as at the war’s front lines.

In an interview and a recent essay , Dr. Dubal argued that generations of historians have confused the philosopher’s informed hunch with the precision of a modern prediction. He said Thales had gotten it exactly right — just as the ancient Greeks declared.

“He was lucky,” Dr. Dubal said, calling such happenstance a regular part of the discovery process in scientific investigation.

Over the ages, Greek astronomers learned more about the Babylonian cycles and used that knowledge as a basis for advancing their own work. What was marginal in the days of Thales became more reliable — including foreknowledge of solar eclipses.

The Antikythera mechanism, a stunningly complex mechanical device, is a testament to the Greek progress. It was made four centuries after Thales, in the second century B.C., and was found off a Greek isle in 1900. Its dozens of gears and dials let it predict many cosmic events, including solar eclipse dates — though not, as usual, their narrow totality paths.

For ages, even into the Renaissance, astronomers kept upgrading their eclipse predictions based on what the Babylonians had pioneered. The 18-year cycle, Dr. Steele of Brown University said, “had a really long history because it worked.”

Then came a revolution. In 1543, Nicolaus Copernicus put the sun — not Earth — at the center of planetary motions. His breakthrough in cosmic geometry led to detailed studies of eclipse mechanics.

The superstar was Isaac Newton — the towering genius who in 1687 unlocked the universe with his law of gravitational attraction. His breakthrough made it possible to predict the exact paths of not only comets and planets but the sun, the moon and the Earth. As a result, eclipse forecasts soared in precision.

Newton’s good friend, Edmond Halley, who lent his name to a bright comet, put the new powers on public display. In 1714, he published a map showing the predicted path of a solar eclipse across England in the next year.

Halley asked observers to determine the totality’s actual scope. Scholars call it history’s first wide study of a solar eclipse. In accuracy, his predictions outdid those of the Astronomer Royal, who advised Britain’s monarch y on astronomical matters.

Today’s specialists, using Newton’s laws and banks of powerful computers, can predict the movements of stars for millions of years in advance.

But closer to home, they have difficulty making eclipse predictions over such long periods of time. That’s because the Earth, the moon and the sun lie in relative proximity and thus exert comparatively strong gravitational tugs on one another that change subtly in strength over the eons, slightly altering planetary spins and positions.

Despite such complications, “it’s possible to predict eclipse dates more than 10,000 years into the future,” Dr. Espenak, the former NASA expert, said in an interview.

He created the space agency’s web pages that list solar eclipses to come — including some nearly four millenniums from now.

So, if you’re enthusiastic about the April 8 totality, you might consider what’s in store for whoever is living in what we today call Madagascar on Aug. 12, 5814. According to Dr. Espenak, that date will feature the phenomenon of day turning into night and back again into day — a spectacle of nature, not of malevolent gods.

Perhaps it’s worth a moment of contemplation because, if for no other reason, it represents yet another testament to the wisdom of Thales.

William J. Broad is a science journalist and senior writer. He joined The Times in 1983, and has shared two Pulitzer Prizes with his colleagues, as well as an Emmy Award and a DuPont Award. More about William J. Broad

Our Coverage of the Total Solar Eclipse

Hearing the Eclipse:  A device called LightSound is being distributed to help the blind and visually impaired experience what they can’t see .

Maine Brac es Itself :  Businesses and planning committees are eager for visitors, but some in remote Aroostook County are not sure how they feel  about lying smack in the path of totality.

A Dark Day for Buffalo:  When the sky above Buffalo briefly goes dark  on the afternoon of April 8, the city will transcend its dreary place in the public consciousness — measured as it so often is by snowstorms — if only for about three minutes. The city can’t wait.

Under the Moon’s Shadow:  The late Jay Pasachoff, who spent a lifetime chasing eclipses , inspired generations of students to become astronomers by dragging them to the ends of the Earth for a few precarious moments of ecstasy.

A Rare Return:  It is rare for a total solar eclipse to hit the same place twice — once every 366 years on average. People in certain areas will encounter April 8’s eclipse  about seven years after they were near the middle of the path of the “Great American Eclipse.”

A Small City’s Big Plans:  Let the big cities have their eclipse mega-events. In Plattsburgh, N.Y., success looks different  for everyone stopping to look up.

 No Power Outages:  When the sky darkens during the eclipse, electricity production in some parts of the country will drop so sharply that it could theoretically leave tens of millions of homes in the dark. In practice, hardly anyone will notice  a sudden loss of energy.

Advertisement

Engineering interview questions, Mcqs, Objective Questions,Class Notes,Seminor topics,Lab Viva Pdf free download. CIVIL | Mechanical | CSE | EEE | ECE | IT | Chemical Online Quiz Tests for Freshers.

[pdf notes] science and superstitions: essay, science and superstitions: essay.

SCIENCE and SUPERSTITIONS

Science and superstitions, although they claim their descent from the same, a common ancestry, yet like the Arabs and the Israelis, forgetting that they are brothers, are always at draggers drawn with each other; they have no love lost between them. Of the two sisters, the science and the superstition, the latter is the older. The common ancestor is ignorance. Born of the ignorance the superstition grew fast on the very I fertile ground of the hearts – innocent and ignorant. After a very long | time of the birth of the first child, the superstition, the second child, the more intelligent the more modern, the more beautiful child, the science was born. The latter born baby, the science, set-forth on the path that did shoot of distinctly at a fairly large angle, perhaps never to meet its sister again. It would not be wrong to say that though they are sisters, yet the latter, the younger sister is clearly distinguishable from her older sister.

As man gradually gained more knowledge about the causes behind the natural phenomena; he began shedding off some of the fear associated with them. This was because man could now find and understand some of the ‘natural’ secrets. Once the ball was set rolling, the pace of the progress of science gained acceleration and momentum. The progress of the one meant the regress of the other. That means the science progressed as the other regressed, it w as the mental standard of the superstitious people that deteriorated, they became more and more superstitious, while the scientific minded people became more scientific minded. As compared with the superstitious people, the men of science proceeded more scientifically, more logically. The men of science are gods as compared with their ancestors, who were not scientific or even scientific, minded. Yet whereas it would be perfectly correct to say that science is the sister, if not the daughter of ignorance, it must be remembered that this daughter is modem and is a thoroughly transformed child. It is the men of science who have revolutionized the world who made it at once a heaven and hell by their inventions of comfort and the devices of destruction. Had it been not for the revolutions of science, the world would have been much i different from what it is as we see it.

Science had reduced time and distance, the world shrink as the pace of science increases. Television, the telescope and the microscope are the eyes of our eyes; telephone is the ear of our ears, as the machines are the hands of our hands. We are riding the horseless carriages, the railways trains and the pilotless aeroplanes. Printing presses, the factories and the mills have made our lives fit to be envied by the gods of mythology, and the atom bombs, the I. C. B. M.  s have set everything ready to destroy that has been created. The progress of science has brought the world to the edge – to the very top of the conical crater of a volcano, only a few fastidious steps and the world will be drawn into the abysmal depths of infernal fire of the hell.

‘Blood is thicker than water’ they say, and the same is true of science and superstitions. They are sisters, the children of the same parents after all sooner or later they will unite again. When anyone or anything goes up and up and had reached a point that it is not possible to go higher, there is no alternative but to fall down and again to the same level if not lower to rise slowly, gradually. Before and insects are near enough their death, just before they have come near enough to death, nature provides them with wings, turning them into moths to enable them to fly the flight of death. Similarly when a stage reaches when science has reached such a stage as that no further rise is possible, then there will be only the last, the final leap to the deep depths of the ravines of ignorance. There will then be happy meeting between the long separated sisters, the elder one will once hold the younger sister in her arms, perhaps more firmly, more tightly, out of the excited ness of the meeting.

Has superstition left man for good or has it left man at all, is a question that is not too difficult to answer. And the answer is’ NO. Even the most advanced of men, including the men of science, are seen worshipping God, and gods, and statues, and believing in the miracles, magic and superstition. Numerous Scientists, and seen wearing certain ‘karas’, red, black or white threads tied round their wrists or slung round their necks, certain devices to cast off the evil spell cast by the evil eye and other sources. A sneeze would keep in check most of the best advanced scientists from undertaking any new experiment in science or the sight of a crow or a cat or even a sweeper or a Brahmin or a bare headed or bald man, or the sight of an empty vessel will make even the most modern people shudder for a while, and for a moment make hem desist from doing anything new or stop them in midst of anything they are doing. How can it be said that superstition has divorced science or the other way round, the science has divorced superstition.

Last but not the least, the superstitions, of whatever type or nature they might be, if they or their origin be traced back, they will be found to have been based upon some very sound, scientific belief. This proves that there was science first and that gradually at some period in antiquity that science must have been advanced so much that, further advance not being possible, man would have become ignorant and superstitious again, retaining some of the science in it. And then superstitious must have grown on the soil of science, again and science would have done away with superstition, and the cycle must have continued, as we see today.  We read in the scriptures of various mythologies that in the darkest ancient past people used to come on the earth from the ‘other worlds’ and return thither. Similarly the people from the earth used to visit the moon and other planets of the solar system and beyond. Only about a few years ago was in the papers mat Soviet scientists have proved mat Mohammad, Jesus Christ and Lord Buddha were nit the beings of the earth. They came, they say, from the other worlds and returned to the worlds they came from, because this world was not fit to be lived in by them. The ignorant and unworthy men of this earth were too human and so inhuman in their behaviour to them that either they killed them or they tortured them to slow death, and still they fortunately or unfortunately did not die, they left for heavenly abodes. This again proves that the stories about the people coming and going from and to the other worlds, were and are not merely tall talks or the fairy tales of the Arabian nights or just fairy tales; those stories that we read in the various scriptures. The pulse of the time has, since time immemorial, been pulsating between the two extremities, one at each end, the superstition and science, ties to the common thread of ignorance, their common mother.

Concluding, it may be said that whether it be, the science or it be the superstition, they are die inseparable companions from birth, and their relation cannot be snapped, it cannot be severed. One has something of the other in it, something inherent in it. Neither can divorce the other. This has been so since the time remembered not and shall probably till the times that cannot be predicted. They are hand in gloves with each other, they will ever be so.